যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনা নিয়ে ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ইউক্রেনের সঙ্গে তিন দিনের বৈঠক থেকেও তেমন কোনো ফলাফল আসেনি। আঞ্চলিক কিছু বিষয় ও ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়গুলো আলোচনা ছাড়া একরকম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে বৈঠক। মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, শান্তি আলোচনা একটু জটিল। কারণ, রাশিয়া প্রতিনিয়তই চাইছে দনবাসের যেসব অঞ্চল এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন, তার দখল। তবে যুক্তরাষ্ট্র দুপক্ষের সমঝোতার জন্য নতুন পরিকল্পনা করছে বলেও জানিয়েছে তারা।
কিয়েভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে বৈঠকে। তবে সেক্ষেত্রেও দুপক্ষের সম্মতি নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এদিকে ফ্লোরিডার বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফের সঙ্গে গঠনমূলক ফোনালাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ এক বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। ফোনালাপ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন:
এদিকে ফ্লোরিডার বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই, ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাতভর হামলায় একাধিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ৬৫৩টিরও বেশি ড্রোন এবং ৫১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে মস্কো। কিয়েভের দাবি, ৫৮৫টি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে তারা।
এদিকে, শনিবার কাতারে দোহা ফোরামের এক প্যানেলে ন্যাটোর মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ হুইটেকার বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন শান্তি চুক্তির আলোচনা অগ্রসর হচ্ছে।
ন্যাটোর মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ হুইটেকার বলেন, ‘আমরা শান্তির কাছাকাছি। আমরা আগের চেয়েও বেশি কাছাকাছি। এই যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত। এটি প্রায় চার বছর ধরে চলছে।’
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা ক্যালাস বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের সবচেয়ে বড় মিত্র। তবে একদিন এই মর্যাদা হারাতে পারে।
ম্যাথিউ হুইটেকার বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা ক্যালাস, আমাদের আরও আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও আমাদের সবচেয়ে বড় মিত্র। আমাদের একসাথে থাকা উচিত।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ সামরিক অভিযান শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক দফা শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চললেও, তা এখন অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে।





