ব্যাংক খাত
আড়াল হচ্ছে প্রকৃত চিত্র; ঋণ অবলোপনের পাহাড়ে ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত

আড়াল হচ্ছে প্রকৃত চিত্র; ঋণ অবলোপনের পাহাড়ে ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত

খেলাপি ঋণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশের ব্যাংক খাতের ঋণ অবলোপনের পরিমাণ। এতে আরও ঝুঁকি বাড়ছে ব্যাংক। ২০২৫ সালের মার্চ মাস শেষে ব্যাংক খাতে পুঞ্জিভূত অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকায়। অর্থনীতিবিদদের মত, ঋণ অবলোপনের এই প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে, যার ফলে ব্যাংক খাতে প্রকৃত খেলাপি ঋণের চিত্র দিন দিন আড়াল হয়ে যাচ্ছে।

‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কমলেই ব্যাংক খাতে তৈরি হওয়া ঝুঁকি কমবে’

‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কমলেই ব্যাংক খাতে তৈরি হওয়া ঝুঁকি কমবে’

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কমলেই ব্যাংক খাতে তৈরি হওয়া ঝুঁকি কমবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। আজ (সোমবার, ৭ জুলাই) দেশে প্রচলিত তদারকি ব্যবস্থার পরিবর্তে ঝুঁকি নির্ভর তদারকি বা আরবিএস পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে ২৪ শতাংশ ঋণ ইচ্ছাকৃত খেলাপির দখলে

বাংলাদেশে ২৪ শতাংশ ঋণ ইচ্ছাকৃত খেলাপির দখলে

ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিতে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শনাক্ত করতে পারলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ আমানতকারী, সৎ ঋণগ্রহীতাসহ ব্যাংকগুলোও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের হাতে। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদদের মত, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের শাস্তি নিশ্চিতে নীতিমালার পাশাপাশি বাড়াতে হবে নজরদারি।

মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ চার লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ চার লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

চলতি বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। যা বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। গতকাল (রোববার, ১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত বছর ডিসেম্বর শেষে এ ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।

‘ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ঋণের ৩০ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে’

‘ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ঋণের ৩০ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে’

ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ঋণের ৩০ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। আজ (বুধবার, ৯ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) দশম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই- নভেম্বরে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ ২৫ হাজার কোটি টাকা

জুলাই- নভেম্বরে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ ২৫ হাজার কোটি টাকা

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাত থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ২৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। যা চলতি বাজেটের ঋণ লক্ষ্যমাত্রার ১৮.৩ শতাংশ।

দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো ডিসেম্বরে

দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো ডিসেম্বরে

২০২৪ সালে এসেছে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার

দেশের ইতিহাসে একক মাস হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত ডিসেম্বরে। যা ২৬৪ কোটি ডলার বা প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা। আর ২০২৪ এ মোট প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার। গত ৫ আগস্টের পর রেমিট্যান্সের প্রবাহ ধারাবাহিকভাবেই বাড়তে দেখা গেছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে আর্থিক খাতের অনিয়ম বন্ধ হওয়ায় এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা সকলের।

বাণিজ্য-বিনিয়োগে ভঙ্গুর দশা, আওয়ামী মদদপুষ্ট সংগঠনগুলোকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা

বাণিজ্য-বিনিয়োগে ভঙ্গুর দশা, আওয়ামী মদদপুষ্ট সংগঠনগুলোকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা

কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী শাসনামলের পুরো ১৫ বছরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছিল গোষ্ঠিতান্ত্রিকতার কবলে। একচেটিয়া সুবিধা পায় বেক্সিমকো, এস আলমসহ আওয়ামী লীগের আত্মীয়স্বজন। রিজার্ভ চুরি কিংবা শেয়ারবাজার লুটের মাঝেই চলছিল রপ্তানি হিসাবের গড়মিল। ১৫ বছরের এসব অনিয়মে যখন পুরো দেশ হাবুডুবু খাচ্ছে তখন শুধু পাচার হয় ২৮ লাখ কোটি টাকা। এর জন্য ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক বলয়ে থাকা বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর মুখে কুলুপ দেয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। আর সংস্কারের মাধ্যমে এসব অনিয়ম বন্ধ করা না গেলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক হবে না বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আইএমএফের দীর্ঘ বৈঠক

অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আইএমএফের দীর্ঘ বৈঠক

ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও চতুর্থ কিস্তির ৪.৭৩ বিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) একটি মিশন আজ (মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় এসেছেন। আর প্রথম দিনই সকাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে দীর্ঘ বৈঠক করে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।

অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ বছরে তলানিতে অর্থনীতি

অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নে ১৫ বছরে তলানিতে অর্থনীতি

হাট বাজারের খরচে হিমশিম খাচ্ছেন স্বল্প ও সাধারণ আয়ের মানুষ। গত ১৫ বছরে আয় যে পরিমাণ না বেড়েছে তার চেয়ে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। আর এর প্রধান কারণ হিসেবে অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। শুধু সামষ্টিক অর্থনীতি নয়, আওয়ামী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী সিদ্ধান্তে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারের তারল্য এবং আস্থাও তলানিতে নেমেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

খেলাপি ঋণের সব তথ্য সামনে আনলে ভয়াবহ তথ্য মিলবে!

খেলাপি ঋণের সব তথ্য সামনে আনলে ভয়াবহ তথ্য মিলবে!

দেশের ব্যাংকখাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা বিপুল অঙ্কের ঋণ খেলাপি। যা ১৫ বছরে বেড়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। আর গেল সেপ্টেম্বর শেষে বিতরণ হওয়া মোট ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ঋণের মধ্যে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশই খেলাপি। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই খেলাপি ঋণ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেড়েছে বেপরোয়া গতিতে। ব্যাংকাররা বলছেন, খেলাপি ঋণের তথ্য যেভাবে গোপন করা হয়েছে তা যদি পুরোপুরি সামনে আনা হয় তাহলে আরও ভয়াবহ তথ্য মিলবে।

তিন শীর্ষ ঋণ গ্রহীতা অর্থ ফেরত না দিলে মূলধন হারাবে  ১০ ব্যাংক

তিন শীর্ষ ঋণ গ্রহীতা অর্থ ফেরত না দিলে মূলধন হারাবে ১০ ব্যাংক

শুধুমাত্র উৎপাদন শিল্পেই ঋণ প্রায় সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, আর মাত্র তিন শতাংশ বাড়লেই পাঁচটি ব্যাংক তাদের সিআরএআর সংরক্ষণে ব্যর্থ হবে। এমনকি তিন শীর্ষ ঋণ গ্রহীতা অর্থ ফেরত না দিলে ১০টি ব্যাংক হারাবে তাদের মূলধন। নাম না প্রকাশের শর্তে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, 'রাইট অফ' এ যেতে পারছে না ব্যাংকগুলো।