আজ (মঙ্গলবার, ৮ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)-এর পরিচালক মোহাম্মদ আল আমিন এখন টিভিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত আসছে। তবে শুল্ক ইস্যুতে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’
তিনি জানান, বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। তাদের তৎপরতার উপর নির্ভর করছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা বলেন, ‘শুল্ক ইস্যুতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে স্বস্তির জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে রপ্তানির ক্ষেত্রে পোশাকনির্ভরতা কমিয়ে বহুমুখীকরণে গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসার পরিবেশ অনুকূল করতে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে নতুন বাজার খুঁজতে হবে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক আরোপ শুধু তাৎক্ষণিক নয়, দীর্ঘমেয়াদেও প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এখনই কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।