মূল্যস্ফীতি কমলেও বেড়েছে চালের দাম

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি | ছবি: সংগৃহীত
0

২০২৩ এর ফেব্রুয়ারির পর সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মত ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে, খাদ্য সামগ্রীতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে বিগত কয়েক মাস ধরে চালের দাম বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ হয়েছে সরকারের কাছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যায়ন বাড়া, রপ্তানি প্রবণতা ফিরে আসাসহ নানা সূচকে বৈদেশিক আয়ে স্থিতিশীলতা। এছাড়াও ওঠে আসে এনবিআরে আন্দোলন ও কর্মবিরতির জন্য তুলনামূলক এ বছর রাজস্ব আয়ে কম হবার দিকটিও।

২০২৩ এর ফেব্রুয়ারির পর সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মত ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে, এক্ষেত্রে খাদ্য সামগ্রীতে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ যা ২০২৩ সালের পর সর্বনিম্ন।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জুলাই মাসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এসময় খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামগ্রিক ভাবে কমলেও বিগত কয়েক মাস ধরে চালের দাম বৃদ্ধি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

অন্তর্বর্তী সরকারের মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৭ নিয়ে আসার কথা দিয়েছিল। সেদিকেই অনেক অংশেই এগিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

অর্থনীতিবিদ ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চালের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে বেনিফিশিয়ারি যারা হওয়ার কথা, সাধারণ মানুষ তারা কিন্তু স্বস্তিতে আসতে পারবে না।’

সাম্প্রতিক সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা, সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা কমলেও চালের দাম কমানো না গেলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জীবনে চাপ বাড়বে।

ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আছে। আমাদের লোকাল ফুড প্রোডাকশন অবশ্যই ভালো এবং এজন্য অবশ্যই সরকার ক্রেডিট ডিজার্ভ করে। এর পাশাপাশি যারা খাদ্য উৎপাদন করে তারাও ক্রেডিট ডিজার্ভ করে।’

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যায়ন বাড়া, রপ্তানি প্রবণতা ফিরে আসাসহ নানা সূচকে বৈদেশিক আয়ে স্থিতিশীলতা উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে।

অন্যদিকে সংস্কার কার্যক্রমের প্রভাবে পড়েছে জুনের রাজস্ব আয়ে। এছাড়াও আন্দোলন ও কর্মবিরতির জন্য গেলো অনেক বছরের তুলনায় এ বছর রাজস্ব আয়ে কম।

ইএ