প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত মেলায় দেশের বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, উদ্ভাবক দল এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের ৭৬টি আইডিয়া থেকে বাছাই করা উদ্ভাবনী ধারণা, প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান ও গবেষণালব্ধ ৩২টি আইডিয়া প্রদর্শিত হয়েছে।
যার মধ্যে ছিল ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি বা ইএমজি সংকেত ব্যবহার করে শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তির জন্য কৃত্রিম হাত, রাস্তার পাশের বিদ্যমান বৈদ্যুতিক খুঁটিকে টেলিকম টাওয়ার হিসেবে ব্যবহার ও বাঁশের তৈরি গ্রিন অ্যান্ড ইনক্লুসিভ টাওয়ার সিস্টেম, দুর্যোগকালীন সময়ে প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে স্বল্পতম সময়ে নেটওয়ার্ক সচল রাখার প্ল্যাটফর্মের মতন উদ্ভাবন এবং সর্বনিম্ন দামে সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের ল্যাপটপ।
বিআইটি প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা ল্যাপটপের একটা অলটারনেটিভ নিয়ে আসছি। আমাদের এই ল্যাপটপে ৩০ হাজার টাকার ল্যাপটপে ১ লাখ টাকার সার্ভিস পাবে আমাদের ইউজাররা।’
ই-বিতানস এআইয়ের সিইও ও কো-ফাউন্ডার হাসিনা পারভীন দীপা বলেন, ‘ই-বিতানস হচ্ছে একটা ই-কর্মাস তৈরি করার প্লাটফর্ম। একজন উদ্যোক্তা তার ব্যবসার ওয়েবসাইট মাত্র এক মিনিটে তৈরি করে নিতে পারেন।’
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান শুরুতে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে এক মিনিটে নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সমাপনী বক্তব্য দেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী (অব.)।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্টার্টআপ যদি হয় শুধু রেভিনিউ আর্ন করার জন্য তাহলে সেটা বেশি দূর যাবে না। সেটা শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে।’
সবশেষে ৩২টি আইডিয়ার বিচারে প্রথম পুরস্কার হিসেবে ৩ লাখ, দ্বিতীয় পুরস্কার ১ লাখ ৫০ হাজার, তৃতীয় পুরস্কার ১ লাখ, চতুর্থ পুরস্কার ৭০ হাজার এবং পঞ্চম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।