শুল্কারোপের প্রভাব থাকলেও আকাশ ভেঙ্গে পড়বে না। চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ আমদানি শুল্কারোপের পর এমনটাই জানান কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র। যা ছিল চীনজুড়ে খবরের শিরোনামের শীর্ষে।
৮ বছর পর শুল্ক ঝড়ের প্রত্যাবর্তনে বিশ্ব যখন ব্যতিব্যস্ত সমঝোতায়, তখন ভিন্ন পথে চীন। ট্রাম্পের ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় ওয়াশিংটনের পণ্যে পাল্টা শুল্কারোপ ঘোষণা করে বেইজিং। যার অর্থ হলো বাণিজ্য যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত শি জিনপিং প্রশাসন। ক্ষতি সামাল দিতে স্থানীয় অর্থনীতিতে আসতে পারে বিভিন্ন প্রণোদনার ঘোষণা।
ব্লুমবার্গ নিউজের বিশ্লেষক অ্যালান ওং বলেন, ‘স্থানীয় অর্থনীতিকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। তাই বাণিজ্য বৃদ্ধিতে জোর দেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুদের হার কমানো, ঋণ প্রদান সহজীকরণের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। কারণ চীনের রপ্তানিকে সুরক্ষিত করতে স্থানীয় অর্থনীতির প্রণোদনার বিকল্প নেই।’
চীনের পাল্টা পদক্ষেপে বেজায় চটেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ (মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল) নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্যথায় বুধবার থেকে চীনা পণ্যের ওপর আরোপ করা হবে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক।
তবে মার্কিন শুল্কারোপের কারণ ঘুরতে পারে চীনের অর্থনীতির চাকা। বিশ্লেষকদের ধারণা, শুল্ক যুদ্ধের সুযোগে বিশ্ববাসীর জন্য নিজেদের বাণিজ্যের দরজা উন্মুক্ত করতে পারে চীন। ইতোমধ্যেই জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক আলোচনা। অর্থনীতিকে বাঁচাতে চীনের ঘনিষ্ঠ হতে পারে ইউরোপ।
স্পেনের বাণিজ্যমন্ত্রী কার্লোস কুয়েরপো বলেন, ‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার চীনের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে কাজ করছি। আমাদের প্রেসিডেন্টের সদিচ্ছার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজছি। এছাড়াও ইউরোপের জন্য চীনা বিনিয়োগ আনার প্রক্রিয়া চলছে।’
শুল্ক ঝড়ের কারণে বিশ্ববাজারে ৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে জ্বালানি তেলের দর। যা সুফল বয়ে এনেছে বেইজিংয়ের জন্য। কারণ বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল আমদানিকারকের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে চীন।