দেশে দেশে পালিত হচ্ছে ‘মে ডে’

নিউইয়র্ক সিটিতে মে দিবসের মিছিল, ১ মে, ১৯০৯ | ছবি: সংগৃহীত
0

বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা ‘মে ডে’। দিবসটি উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়াসহ পশ্চিমা দেশগুলোতেও নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে রাশিয়া ও চীন বেশ মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালন করছে।

প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য

ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,

চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য

কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া।

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের এই কবিতা যেন আজও জীবন্ত। অধিকার আদায়ের দাবিতে এখনও রাজপথে নামতে হয় শ্রমজীবীকে। আজও কাঁঠফাটা রোদে পুড়তে হয় তাদের। বিশ্বজুড়ে আজও দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করে যাচ্ছে লাখ লাখ শ্রমিক।

১৮শ’ শতকে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকদের ১২ ঘণ্টা কর্মদিবস ছিল। সপ্তাহে সাত দিনই তাদের কাজ করতে হতো। এর প্রতিবাদে ১৮৮৬ সালের পয়লা মে দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার দাবিতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে। এর তিনদিন পরই শিকাগোর হে মার্কেট স্কয়ারে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠে। তুমুল সংঘর্ষ হয় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দাবিতে এ আন্দোলনে সাত পুলিশ ও চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

১৮৮৯ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে দিনটিকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাশিয়া ও চীনে মে দিবস মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। এ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক পরিসরে মে দিবস পালন করা হয়। ৮০টিরও বেশি দেশে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয় মে দিবস।

ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা ইত্যাদির দাবিতে আজও বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হচ্ছ মে দিবস। এ উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে রাজপথে র‍্যালি করছেন লাখো মানুষ। লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনাতেও পালিত হচ্ছে মে দিবস। মজুরি বাড়ানোর দাবিতে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার মানুষ। একই দাবিতে রাজপথে নামেন ফিলিপিন্সের মানিলার হাজারো শ্রমজীবী মানুষ।

মে ডে উপলক্ষে চীনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রী পাড়াপাড় বেড়েছে কয়েকগুণ। ভিড় বেড়েছে এয়ারপোর্ট, রেলস্টেশন ও সড়কপথেও। এ ছাড়া ছুটির এ দিনটি বেশ খোশমেজাজে পালন করছেন চীনা নাগরিকরা।

এসএস