সোমবার (৩ মার্চ) ভোররাত। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার একটি টিনশেড বাসায় গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে আচমকা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এরইমধ্যে দগ্ধ হয় দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ আট সদস্য।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, 'সেমিপাকা ভবনের নিচে দিয়ে আমরা দেখলাম যে একটা গ্যাসের লাইন গেছে। ওয়ালের চারপাশে পানি দিয়ে দেখলাম এক জায়গায় লিক আছে, যেখান দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছে।'
পরে ভোররাতেই জরুরি অবস্থায় দগ্ধ আটজনকে আনা হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় জরুরি বিভাগে।
ভুক্তভোগী বলেন, 'আমরা ধারণা করেছি সিলিন্ডার থেকে হয়েছে। আবার বাড়িওয়ালাকে জানানো হয়েছে যে গ্যাসের গন্ধ আছে।'
দগ্ধ আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশংকাজনক। যাদের মধ্যে রয়েছে এক শিশু, কিশোর, চারজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ। যাদের প্রত্যেকের শরীর পুড়েছে ২০ থেকে ৪৫ শতাংশ। বাকি দুই শিশুর পুড়েছে তিন ও সাত শতাংশ শরীর, তারা কিছুটা আশঙ্কা মুক্ত রয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, 'তিনজনেরই মেজর বার্ন হয়েছে। বিশেষ করে বাচ্চাটার অবস্থা বেশ খারাপ।'
আশঙ্কাজনক ছয়জনকে এইচডিওতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বজনদের অভিযোগ, বিস্ফোরণের পর সময়মতো আসেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিভিয়েছে স্থানীয়রা।