তিনি বলেন, ‘মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা, আহতদের গুলি করে মেরে ফেলা, নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলা...; আপনারা বলতে পারেন, ২৫ মার্চ কালরাতে হয়েছে। অবশ্যই হয়েছে, ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ওটা তো অন্য দেশের বাহিনী। আমরা তো স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি তারপর।’
আসিফ নজরুল মনে করেন, ১৯৭১ সাল ও ২০২৪ সালের দুই ঘটনার ‘পারসপেক্টিভ আলাদা’।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলেছে, এরকম কোনো ফুটেজ আমি দেখিনি। ১৯৭১ সালে একজন গুলি খেয়েছে, তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তার বন্ধু, সে অবস্থায় তাকে গুলি করেছে। কোনো মুক্তিযোদ্ধার এমন কোনো বর্ণনা আমি পড়িনি বা ফুটেজ দেখিনি। অন্যরকম নৃশংসতা থাকতে পারে, কিন্তু এরকম নৃশংসতা করেনি।’
এরপর তিনি বলেন, ‘২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার সুষ্ঠুভাবেই করা হবে। এই বিচার নিয়ে আপনাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সরকারের আমলেই কাঙ্ক্ষিত রায় পাবেন।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘এমনভাবে বিচারের সাক্ষ্য-প্রমাণ রেখে যাওয়া হবে, ভবিষ্যতে কোনো সরকার চাইলেও বিচার থেকে সরতে পারবে না। আর আমি বিশ্বাস করি না, ভবিষ্যতে বিএনপি-জামায়াত যারাই ক্ষমতায় আসুক, তারা বিচারে শৈথিল্য বা গাফিলতি দেখাবে। তারা সবাই নির্যাতিত মানুষ।’