
জুলাই আন্দোলনে গুলির মুখেও থামেনি সংবাদ সংগ্রহ, প্রাণ হারিয়েছেন ৬ সাংবাদিক
ঢাকা থেকে সিলেট, যাত্রাবাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জ! ২০২৪ এর জুলাই আন্দোলনের দিনগুলোতে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল দেশের রাজপথ। স্বৈরাচার পতনের দাবিতে উত্তাল সেই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ছয় সাংবাদিক। ঢাকার রাজপথ থেকে শুরু করে জেলা শহর পর্যন্ত তারা ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী, তথ্যানুসন্ধানী জনতার কণ্ঠস্বর। আন্দোলনে গুলির মুখেও সংবাদ সংগ্রহে পিছপা হননি তারা। দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন নিজেদের জীবন। তাদের পরিবারের কান্না থামেনি এখনও। সহানুভূতি আর বিচার এখন তাদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।

‘যে দল কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না, সেই দলের হাতে একজনও নিরাপদ নয়’
নির্বাচনের আগে জুলাই আন্দোলনে যারা ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে সেই সব শীর্ষ খুনিদের মধ্যে অন্তত দুই থেকে চারজনের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, ‘যে দল তার নিজের কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না, সেই দলের হাতে একজন মানুষও নিরাপদ নয়।’

১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
চব্বিশের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলা ও তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক নিহতদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান: আন্দোলনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উত্তরা
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম হটস্পট উত্তরা। ১৮ জুলাই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিমানবন্দর মহাসড়ক। শতাধিক শহীদ উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করতে বুক পেতে দিয়েছিলো স্বৈরাচারের বুলেটের সামনে। কারফিউ ভেঙে, জুলুমশাহীর মসনদকে ধুলোয় মিলিয়ে দেবার প্রথম ও চূড়ান্ত মিছিলের সূত্রপাতও উত্তরা থেকেই। অথচ এখানে নেতৃত্ব দেয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাই বলছেন, তারা নানাভাবে উপেক্ষিত।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মিরপুর ছিল ‘অপ্রতিরোধ্য দুর্গ’
শাসকের রক্তচক্ষুর সামনে দাঁড়িয়ে জুলাই-আগস্ট জুড়ে দৃঢ়ভাবে লড়ে গেছে মিরপুরের ছাত্র-জনতা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধের যুদ্ধে হারিয়েছেন সহযোদ্ধা। কিন্তু দমে যাননি একটুও। পাল্টা স্লোগানে উত্তাল করেছে রাজপথ। যার ফলশ্রুতিতে, শত প্রাণের বিসর্জনে বিজয় এনেছে ছিনিয়ে।

গাজীপুরে গর্জে ওঠে তরুণ প্রজন্ম, দাঁড়িয়েছিলেন ঢাল হয়ে
চব্বিশের জুলাইয়ে গাজীপুরের রাজপথে গর্জে উঠে তরুণ প্রজন্ম। বুকের তাজা রক্ত আর সাহসিকতার আগুনে সেদিন ছিন্নভিন্ন হয়েছিল স্বৈরতন্ত্রের দেড় দশকের ক্ষমতার মসনদ। টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, জলকামান কিছুই থামাতে পারেনি তাদের। বছর পেরিয়ে আবারও এসেছে রক্তাক্ত জুলাই, প্রশ্ন উঠেছে- যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে রাজপথে রক্ত ঝরেছিল, সেই স্বপ্ন কতটুকু পূরণ হলো?

গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ৮০ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী; স্বীকৃতি চায় আলেম সমাজ
‘শহিদি তামান্না’ নিয়েই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসেন তারা। কয়েকদিনের মরণপণ সংগ্রামে মাদ্রাসা থেকেই শহিদ হন প্রায় ৮০ জন। তবে আলেম সমাজের অভিযোগ, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানসহ দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা থাকলেও যথাযথ স্বীকৃতি পাননি তারা। এ অবস্থায় রাজনৈতিক সংস্কৃতির পাশাপাশি নৈতিক পরিবর্তনের তাগিদ তাদের।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে ১২টি মামলায় চার্জশিট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় রুজুকৃত মামলার মধ্যে ১২টি মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৩টি এবং অন্যান্য ধারায় মামলা ৯টি। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই) মামলার চার্জশিট দেয়া হয়।

সাঈদের স্মরণে আজ পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহিদ দিবস’
গেলো বছর আজকের এই দিনে জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগে দেশ ধাবিত হয় গণঅভ্যুত্থানের দিকে। সেই দিনের স্মরণে আজ (বুধবার, ১৬ জুলাই) পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহিদ দিবস’। আবু সাঈদকে কেবল গুলি করে হত্যা-ই করা হয়নি, মৃত্যুর পর মরদেহ নিয়ে চলে লুকোচুরি। গোপনে পোস্টমর্টেমে নেয়া হয় আর মরদেহ হস্তান্তরে চলে গড়িমসি, গভীর রাতে হয় দাফনের চেষ্টাও। বেগম রোকেয়ার ফটক থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতাল, তারপর মৃত্যু।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি চূড়ান্ত
ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত কমিটির এক সভায় এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট: জাবিতে গুলি-মরদেহের ইতিহাস
শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে সর্বপ্রথম ছাত্রলীগমুক্ত ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। তবে এ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার ওপর অনবরত গুলি চালায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৮ জুলাই গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনকে পুলিশের এপিসি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর দৃশ্য দেখে কেঁদেছিল দেশবাসী। আশুলিয়ার মরদেহ পোড়ানোর ঘটনা ইতিহাসে বিরল। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও গণঅভ্যুত্থানের পর এখন অনৈক্যের সুর দেখছেন জুলাই যোদ্ধারা।

‘জামায়াত ঘোষিত ৭ দফা আদায়ের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সফলতা সম্ভব’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ৭ দফা আদায়ের মাধ্যমেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সফলতা অর্জন করা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ (মঙ্গলবার, ৮ জুলাই) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।