
উপকার নয়, ক্ষতি করছে নকল মধু—খাঁটি শনাক্তে কয়েকটি সহজ কৌশল
মধু উৎস ও উৎপত্তিস্থল অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের হয়। ধরনভেদে মধুর রং, স্বাদ ও গন্ধেও থাকে কিছুটা ভিন্নতা। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই প্রাকৃতিক খাদ্য মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিক্রি করা ভেজাল মধু উপকারী তো নয়ই, বরং অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হতে পারে। সতর্ক থাকলে ভেজাল মধু শনাক্ত করা সম্ভব। খাঁটি মধু চেনার উপায় নিয়েই এ প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।

সুগন্ধি মসলা লবঙ্গ: স্বাদ-গন্ধে ভরপুর প্রাকৃতিক উপাদান
গাছের ফুলের কুঁড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয় এক প্রকারের মসলা। লবঙ্গ নামের এ মসলা ব্যবহার করা হয় খাদ্যদ্রব্যে। যার ব্যবহারে খাবারে সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ বেড়ে যায়। খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও খালি মুখেও খাওয়া যায় এ মসলাটি।

সাতক্ষীরায় চিনি দিয়ে মধু তৈরির অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চিনি দিয়ে মধু তৈরি করার অপরাধে এক অসাধু মধু ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ (মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল) দুপুর ৩ টায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সরদার বাড়ি এলাকায় মোস্তফা মল্লিকের মৌ খামারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।

যে দেশে রোগমুক্তির প্রার্থনায় প্রধান উপকরণ মধু
প্রার্থনার মাধ্যমে প্রাকৃতিক মধু অসুখ নিরাময়ের জন্য উপযোগী করা হয়। এরপর রোগমুক্তির আশায় ব্যবহার করা হয় সেই মধু। যুগ যুগ ধরে এমনটাই বিশ্বাস করে আসছেন বুলগেরিয়ার অর্থডক্স খ্রিস্টানরা।

সাতক্ষীরা চলতি মৌসুমে ৭৫ টন মধু সংগ্রহের আশা কৃষি বিভাগের
সরিষা ফুলের হলুদ বরণে সেজেছে সাতক্ষীরার মাঠের পর মাঠ। চলতি মৌসুমে জেলার প্রায় প্রতিটি মাঠজুড়ে চাষ হয়েছে সরিষার। ফুল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য বসানো হয়েছে ৫ হাজার মৌ বক্স। যা থেকে ৭৫ টন মধু উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের।

চট্টগ্রামে ৭ হাজার একরের মহুরি মৎস্য প্রকল্প
প্রায় ৭ হাজার একরজুড়ে দেশের বড় মৎস্য প্রকল্প চট্টগ্রামের মহুরি প্রজেক্ট। বিশাল জলাভূমিতে বছরে উৎপাদন হয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন মাছ, যার বাজারদর এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রামে মিঠা পানির মাছের প্রায় ৭০ ভাগ যোগান আসে এখান থেকেই।

মধ্যপ্রাচ্য যাচ্ছে ফরিদপুরের মধু
গুণে-মানে ভালো হওয়ায় ফরিদপুরের হরেক রকম ফুলের মধুর কদর দেশজুড়ে। তবে দেশ ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যেও যাচ্ছে এই মধু। এ কারণে দিন দিন বাড়ছে মধুর চাষ। এতে মধু উৎপাদনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরাগায়নে অন্যান্য ফসলের আবাদও ভালো হচ্ছে।

তেল-মধু মিলিয়ে সরিষার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য
ভোজ্যতেল হিসেবে সরিষার চাহিদা বাড়ায় উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জে রেকর্ড পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে। চলনবিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও শাহজাদপুর উপজেলার প্রতিটি ফসলি মাঠে এখন সরিষায় ভরপুর।

মানিকগঞ্জে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ
সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় প্রতি বছরই সরিষার চাষ বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জে ৭১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২৩ হাজার ৭০৭ হেক্টর বেশি।