
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদেশি ঋণ পরিশোধ ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের বার্ষিক বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে আসল ও সুদ বাবদ প্রায় ৪ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।

‘জুনের মধ্যে বিদেশি ঋণের সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ’
আইএমএফের স্ট্যাফ লেভেল সমঝোতা হওয়ায় আগামী জুনের মধ্যে সব মিলিয়ে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আইএমএফ দেবে ১৩০ কোটি ডলার। বাকি ২২০ কোটি ডলার আসবে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, এআইআইবি ও ওপেক থেকে।’

আমদানি ব্যয় ও দায় পরিশোধের চাপে ফের অস্থিতিশীল ডলারের বাজার
আমদানি ব্যয় ও দায় পরিশোধের চাপে ফের অস্থিতিশীল ডলারের বাজার। প্রতি ডলার লেনদেন হচ্ছে ১২৭ টাকা পর্যন্ত। আর ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত দামের বাইরে গিয়ে কিনতে হচ্ছে ডলার। তাই এবার আইএমএফ'র পরামর্শে নতুন ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেখানে আংশিক বাজারনির্ভর বিনিময় হার নির্ধারণ করা হবে। তবে ডলার সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পুরোপুরি বাজারের উপর দাম ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

এলসি ছাড়া ৫ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির অনুমতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
এলসি (ঋণপত্র) ছাড়া চুক্তিপত্রের মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আমদানির সুযোগ সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চুক্তিপত্রের আওতায় আমদানি বাণিজ্য বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী এলসি ছাড়া চুক্তিপত্রের আওতায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আমদানির সুযোগ দেয়া হয়েছে। বছরে ৫ লাখ ডলারের পণ্য এলসি ছাড়া বাণিজ্যিক আমদানি করা যায় বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মূল্যস্ফীতির সাথে বেড়েছে মাথাপিছু ঋণ, চাপও বেড়েছে সাধারণ মানুষের
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার তার ১৫ বছরের শাসনামলে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে যায়। শেখ হাসিনা সরকার দেশ এবং বিদেশে থেকে ঋণের বড় একটি অংশ নিয়েছে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সাথে বেড়েছে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ। রাষ্ট্রীয় এই ঋণের চাপ বয়ে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ।

১৫ বছরের ঋণের বোঝা আর মূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা মানুষ
গত ১৫ বছরে দেশি-বিদেশি ঋণ নিয়ে দেশের অর্থনীতির অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে এমন উন্নয়নে যে ব্যয় দেখানো হয়েছিল তার বেশিরভাগই হয়েছে আত্মসাৎ ও পাচার। ফলে একদিকে যেমন বেড়েছে ঋণের বোঝা অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির চাপে নাজেহাল হয়েছে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় অর্থনীতি সংস্কারে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যেখানে মূল্যস্ফীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ২১ সেপ্টেম্বর
সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ২১ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে আবারও শক্তিশালী করে নতুন ভবিষ্যতের আশায় শ্রীলঙ্কাবাসী। আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের বড় ছেলে। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়বেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। তাদের সবারই লক্ষ্য দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা।

সংকট ও চ্যালেঞ্জে শুরু নতুন অর্থবছর
রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রা আর বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করে ইতিবাচক ধারা দিয়ে পার হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দিন। তবে মূল্যস্ফীতি, জিডিপির হার, খেলাপি ঋণ, বেসরকারি বিনিয়োগ আর শেয়ারবাজারের সূচক সংকটাপন্ন। সব মিলিয়ে সংকট ও চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে শুরু হলো নতুন অর্থবছর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ হবে স্থবিরতা থেকে ফিরিয়ে জিডিপির হারে বেসরকারি খাতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

১০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুনর্গঠনের চুক্তি সই শ্রীলঙ্কার
ঋণদাতা দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুনর্গঠনের চুক্তি সই করেছে শ্রীলঙ্কা। এরমধ্য দিয়ে খেলাপির তালিকা থেকে বের হয়ে আসবে দেশটি। নতুন চুক্তির আওতায় বিদেশি ঋণ পরিশোধে শ্রীলঙ্কা সময় পাবে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত। আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনের আগেই চাঙা হবে লঙ্কান অর্থনীতি। এমনটা আশা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

বাজেটে ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি কমেছে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যও
বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা কম ধরা হয়েছে। ঋণের লক্ষ্যমাত্রাও বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে কম। অর্থনীতিবিদরা একে ঋণ করে বাজেট বাস্তবায়নের প্রবণতা থেকে বের হওয়ার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে সার্বিক পরিচালন ব্যয়েও লাগাম টানা দরকার।

বিদেশি ঋণ ছাড়াই বাজেট সম্ভব: অর্থনীতি সমিতি
প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব
বিদেশি ঋণ না নিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঘাটতি পূরণ করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। রাজস্ব আদায়ে প্রস্তাব এসেছে বিভিন্ন খাতে করারোপের।

প্রকল্প গ্রহণের আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়িয়ে দ্রুত প্রকল্প শেষ করতে হবে। আজ (মঙ্গলবার, ৭ মে) নিজ বাসভবন গণভবনে তিনি এ কথা বলেন।