
‘বেগম রোকেয়া আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন—চুপ করে থাকা কোনো সমাধান নয়’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বেগম রোকেয়া আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন—চুপ করে থাকা কোনো সমাধান নয়, বরং প্রয়োজন সাহস করে উঠে দাঁড়ানো আর অধিকারের দাবি জানানো। তিনি বলেন, ‘তার দেখানো পথ ধরেই আজকের নারীরা জীবনের সবক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারছে।’

বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ, কাফির’ বলে রাবি শিক্ষকের ফেসবুক পোস্ট
নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেনকে ‘মুরতাদ, কাফির’ বললেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। আজ (মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট শেয়ার দেন রাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মাহমুদুল হাসান। সেখানে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, ‘আজ মুরতাদ কাফির বেগম রোকেয়ার জন্মদিন।’ এ ঘটনায় দেশজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

বেগম রোকেয়া সমস্ত সমাজকে ঝাঁকুনি দিয়েছেন: প্রধান উপদেষ্টা
বেগম রোকেয়ার আদর্শ অনুসরণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন দেখেছে। সাংঘাতিক রকমের স্বপ্ন। এরকম স্বপ্ন মানুষ দেখতে পারে, সেই আমলে, এটা বিশ্বাস করা যায় আজকে? মনে হয় সুন্দর কথা বলেছে, সুন্দর কথা না, বিপ্লবী কথা। সমস্ত সমাজকে ঝাঁকুনি দিয়েছেন।’ আজ (মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আজ বেগম রোকেয়া দিবস
বেগম রোকেয়া দিবস আজ। ১৮৮০ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। আজ (মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর) তার ১৪৪তম জন্ম ও ৯২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি’।

বেগম রোকেয়া অগ্রণী এক অগ্রদূত, নারী জাগরণের আলোক দিশারী: তারেক রহমান
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে অগ্রণী এক অগ্রদূত ও নারী জাগরণের আলোক দিশারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল (সোমবার, ৮ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে করা পোস্টে এসব কথা উল্লেখ করেন।

পৈত্রিক ভিটায় তো বটেই, নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়েও উপেক্ষিত বেগম রোকেয়া!
পৈত্রিক ভিটায় তো বটেই, নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়েও উপেক্ষিত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ইতিহাস। অবমূল্যায়ন এটাই প্রকট, সেখানে নেই তার কোনো ম্যুরাল। দেড় দশকেও হয়নি রোকেয়া চর্চা ও গবেষণার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েক দফা চেষ্টার কথা বললেও পাঠ্যসূচিতে যোগ করতে পারেনি রোকেয়া স্টাডিজ কোর্স।