
শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটছে বিশ্ব
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চহারে শুল্কারোপের পাশাপাশি সমঝোতার মাধ্যমে এর হার কমানোর পথও খোলা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার উদাহরণ চীন, যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনাম। একই পথে হাঁটছে ভারতও। সেই সুবাদে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের আগামীকালের (বুধবার, ৯ জুলাই) বৈঠকে সুখবর আসতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ পূর্ণ বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। আজ (মঙ্গলবার, ৮ জুলাই) সকালে সচিবালয়ের সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ৯ জুলাইয়ের পর’
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা করলেও ৯ জুলাইয়ের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

ট্রাম্পের শুল্ক ইস্যুতে দৌড়ঝাঁপ, চাপ বাড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে
আগামী ৯ জুলাই শেষ হচ্ছে ট্রাম্পের ৯০ দিনের শুল্ক স্থগিতের সময়সীমা। এখন ট্রাম্প কী পদক্ষেপ নেবেন তা নিয়ে উত্তেজনা বইছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এরইমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে মার্কিন বাণিজ্য অংশীদাররা। শুল্কনীতির সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রভাবে পতনের দিকে ইউরোপের শেয়ারবাজার। চীনের অভিযোগ, শুল্ককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।

ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি, বাংলাদেশি পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপ
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল (সোমবার, ৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতে না পৌঁছালে আগামী ১ আগস্ট থেকে যা কার্যকরের কথা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির চাপ মোকাবেলায় সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে’
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত শুল্কনীতির চাপ মোকাবেলায় অন্তর্বর্তী সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

চীন-মালয়েশিয়া সম্পর্ক আরো উন্নত হলে লাভবান হবেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া শুল্কনীতির কারণে যখন অস্থির বিশ্ববাজার, তখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিন দেশে সফর করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মালয়েশিয়া সফরকালে স্বাক্ষর করেছেন ৩১টি চুক্তিতে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে শি জিনপিংয়ের এই সফরকে আঞ্চলিক স্বার্থ পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। আর প্রবাসীদের দাবি, চীন-মালয়েশিয়া সম্পর্ক আরও উন্নত হলে লাভবান হবেন বাংলাদেশি শ্রমিকরাও।

পশ্চিমা বিশ্বে চীনা পণ্যের আধিপত্য ঠেকাতেই এই শুল্কযুদ্ধ!
পশ্চিমা বিশ্বে চীনা পণ্যের একচেটিয়া আধিপত্য ঠেকাতেই শুল্কযুদ্ধ জারি রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রয়োজনে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আঞ্চলিকভাবে চীনা পণ্যের বাজার নষ্ট করতেও পিছপা হবে না ওয়াশিংটন। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনমুখী বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু করাই ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির মূল লক্ষ্য।

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধে দরপতন শেয়ারবাজারে; চূড়ায় পৌঁছেছে স্বর্ণের দর
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব বাজারে। ইতোমধ্যেই ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহ হারানোয় কমতে শুরু করেছে মার্কিন ও এশিয়ার শেয়ার দর। অপরদিকে নিরাপদ সম্পদের কদর বাড়ায় চূড়ায় পৌঁছেছে স্বর্ণের দর।

বাণিজ্য সংঘাত: যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতি স্বীকার করবে না চীন
বিশ্লেষকদের অভিমত
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার শুল্কযুদ্ধে আরও গভীর হচ্ছে দুই দেশের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সংঘাত। তবে ক্ষতি যতোই হোক, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতি স্বীকার করবে না চীন, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় বাণিজ্য অংশীদারদের চাপে ফেলে ট্রাম্প যে বিপজ্জনক খেলায় মেতেছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপকে ভয় পায় না চীন: শি জিনপিং
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপ ইস্যুতে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। জানালেন, অনৈতিকভাবে চাপিয়ে দেয়া কোনো সিদ্ধান্তকে ভয় পায় না বেইজিং। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, এখনও আলোচনায় বসতে রাজি তিনি। চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে পরাজয় মেনে নিয়ে চীনের পক্ষ থেকেই প্রথম পদক্ষেপ আসবে বলেও আশা ওয়াশিংটনের। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, শি জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে আলোচনায় এগিয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশি পণ্যে মার্কিন শুল্কের ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ, স্বস্তিতে প্রবাসীরা
৯০ দিনের জন্য বাংলাদেশি পণ্যের উপর মার্কিন শুল্ক স্থগিত হওয়ায় অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের মনে । অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে না বাংলাদেশি পণ্য। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহার না করলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ছোট-বড় অনেক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।