ক্ষমতায় এসেই বিশ্বব্যাপী আমদানি পণ্যে সম্পূরক শুল্কারোপের মাধ্যমে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বিভিন্ন দেশের পণ্যে উচ্চহারে শুল্কারোপ করলেও আলোচনা ও বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এর হার কমানোর পথ খোলা রাখেন তিনি। মূলত সেই উদ্দেশেই শুল্ক ঘোষণার পর তিন মাসের জন্য তা স্থগিত করেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় এই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে শুল্ক কার্যকরের মেয়াদ পহেলা আগস্ট নির্ধারণ করা হয়।
ট্রাম্পের ডাকে এরইমধ্যে সাড়া দিয়েছে চীন, যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনাম। শুরুতে চীনের ওপর সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। অবশ্য পরবর্তীতে তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়। তবে ওয়াশিংটন-বেইজিং বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে চীনা পণ্যে ১১৫ শতাংশ কমিয়ে ৩০ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়।
একই পথে হেঁটেছে ভিয়েতনামও। ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের উপর আরোপিত শুল্ক ৪৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়েছে হ্যানয়। অবশ্য এর বিনিময়ে কোন ধরণের শুল্ক ছাড়াই ভিয়েতনামের বাজারে পণ্য রপ্তানির সুযোগ করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়াও যুক্তরাজ্যও ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের শুল্ক ১০ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখে। যেখানে তাদের গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের উপর শুল্ক থাকলেও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য রপ্তানিতে থাকবে জিরো ট্যারিফ।
চীন, যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হলেও, বাংলাদেশের পাশাপাশি এখনও শুল্কারোপ নিয়ে বনিবনা হয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, কানাডা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। তবে শুল্ক হার কমাতে এসব দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
অবশ্য ভারতে মার্কিন শুল্ক কমাতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে চুক্তির আশা নয়াদিল্লির। ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে এমন তথ্য। সেক্ষেত্রে দেশটির ওপর শুল্ক ২৬ শতাংশ থেকে কমে ১০ শতাংশে নামতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে আগামীকাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গেও মার্কিন প্রতিনিধিদের বৈঠকের কথা রয়েছে। আর এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে মার্কিন শুল্কহার কমতে পারে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।