আজ (বুধবার, ২৫ জুন) সকালে নগরীর মেছুয়া বাজারে হেজবুল্লাত রোডের চালের পাইকারি ও খুচরা মোকামগুলো দেখা যায় গত সপ্তাহে ১ হাজার ৮৫০ টাকার ২৫ কেজি কাটারি চালের বস্তা চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায় এছাড়া ১ হাজার ২৫০ টাকার ২৮/২৯ প্রজাতির চালের বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধের পর কাটারি এবং নাজিরশাইল চালের বাজার আরেক দফা অস্থির হয়। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে খুচরা পর্যায়ে আরো ৫-৬ টাকা কেজিতে বেড়েছে ২৮ এবং ২৯ প্রজাতির চালের দাম।
কয়েকজন চালকল মালিক জানান, ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যাপ্ত ধান না কেনায় এখন বাজারে সরবরাহ বাড়াতে গিয়ে হাট থেকে বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে। খরচ বেশি পড়ায় দামও বেড়েছে। নওগাঁ থেকে আসতো কাটারি চালের সরবরাহ, এখন সেখানেও পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। ফলে বেশি দিয়ে কেনার পাশাপাশি খরচ বেড়েছে আর খরচ বাড়ায় বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।
এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগের তীর ছুড়ছেন বড় মহাজনদের দিকে। তারা জানালেন, এখনো অনেক বড়বড় ব্যবসায়ী তারা নিজেদের ইচ্ছা মত দাম বাড়াচ্ছে, অনেকের কাছে মজুদ আছে আগের চাল। মিলার কেজিতে ২ টাকা বাড়ালে তারা আরো দুই টাকা বাড়ায়।
তবে চালের দাম বাড়লে দিন শেষে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে চরমে। চালের নিত্যনতুন দামে হিমশিম অবস্থা তাদের। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং বাড়ানোর তাগিদ সাধারণ ভোক্তাদের।
এছাড়া হাটে বেড়েছে ধানের দামও। মোটা ধান ১ হাজার ২৩০ টাকা এবং চিকন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৩০ টাকা মন। ফলে বাজারে কাটারিসহ অন্যান্য চাল সরবরাহ করতেই হিমশিম অবস্থা মিলারদের ।
বাজার মনিটরিং বিষয়ে ময়মনসিংহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল সালাম এখন টিভিকে জানান, বাজার মনিটরিংয়ে আমরা জেলায় নিয়মিত কাজ করছি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। চালের বাজার মনিটরিং জোরদার করতে শিগগিরই মাঠে নামবে ভোক্তা অধিকার টিম।
ময়মনসিংহ জেলা ছাড়াও নেত্রকোণা কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুরের চালকলসহ বগুড়া, দিনাজপুর, নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, হিলি থেকে ময়মনসিংহে চাল সরবরাহ করা হয়।