নাটোরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ তোলা শুরু

পেঁয়াজ | ছবি: এখন টিভি
0

নাটোরে খেত থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। কয়েকদিন পরই বাজারে এই পেঁয়াজ পাওয়া যাবে। এবার ফলনের পাশাপাশি দাম বেশি পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার কৃষক শহিদুল ইসলাম পেয়ারা বাগানের ভেতর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেন। যার সব খরচের জোগান দিয়েছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে খেত থেকে পেঁয়াজ তোলা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার পেঁয়াজের চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে, দামও ভালো পাচ্ছি।’

পেঁয়াজের দাম নিয়ে বছরজুড়ে ছিল আলোচনা। বিশেষ করে বছরের শেষদিকে বাড়ে সংকট, দামও বেড়ে যায়। এই সংকট কাটাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের সার, বীজের পাশাপাশি নানা উপকরণ বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার। এতে একজন কৃষকের পেছনে ৯ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

ভারতীয় নাসিক-এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ বীজ রোপণ থেকে ঘরে তুলতে ৯০-১০০ দিন সময় লাগে। যা থেকে পরবর্তীতে রোপণের জন্য বীজ সংগ্রহ করা যায় না। এজন্য বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন, 'বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশ চড়া। এই সময় কৃষকরা পেঁয়াজ তুলতে পারছেন এবং বেশি দাম পাচ্ছেন। এমনকি পেঁয়াজের পাতাও বিক্রি করতে পারছেন।'

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এ বছর নাটোরে ৯৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৩ কোটি টাকা।

নতুন এই পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর কৃষকদের দেশি জাতের উন্নত বীজ সরবরাহ করা হলে আগামীতে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলেও মনে করেন তারা।

সেজু