পুঁজির অভাবে গৌরব হারাচ্ছে মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শাঁখা শিল্প

0

পুঁজির অভাবে গৌরব হারাতে বসেছে মানিকগঞ্জের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শাঁখা শিল্প। মাত্র ১৫ থেকে ২০টি পরিবার সুনিপুণ হাতে এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টাও করে যাচ্ছেন। তবে, এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপের আশ্বাস জেলা প্রশাসকের।

শাঁখা শিল্প মানিকগঞ্জের বরুরিয়া এলাকার শত বছরের ঐতিহ্য। উনিশ শতকের শুরুর দিকে সেন, দত্ত এবং কর পরিবারের হাতে এর ভিত্তি স্থাপন হয়। শ্রীলঙ্কা ও ভারত থেকে শাঁখা আমদানি করে, সেগুলো কাটিয়ে, নকশা করে বিক্রি হতো স্থানীয় বাজারে। ধীরে ধীরে এই শিল্পের পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

তবে, গত দুই দশকের অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদার ঘাটতি, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও পুঁজি সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এখন সংকটে এই শিল্প।

বর্তমানে শাঁখা শিল্পের কাজ করছে ছোট বরুরিয়া গ্রামের ১৫ থেকে ২০টি পরিবার। সারাদিন ধরে শাঁখা কাটা, পলিশ করা এবং নকশা আঁকায় ব্যস্ত সময় পার করেন তারা।

বর্তমানে একজোড়া শাঁখা আকার এবং মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে। স্থানীয় বাজারে চাহিদা থাকলেও দাম কম হওয়ায় পেশা বদলে ফেলছেন অনেকে।

শাঁখা শিল্পের সংকট কাটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আমাদের যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প আছে বা পল্লি উন্নয়ন দপ্তরের যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প রয়েছে সেটায় খরচ অনেক কম। এ ধরনের ঋণ দিয়ে তাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বা পুঁজি তৈরির ব্যবস্থা আমরা করবো।’

শাখা তৈরির কারিগরসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বিপুল চাহিদা থাকায় এই শিল্পের সঠিক বিকাশের জন্য সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।

এএম