ন্যায্যমূল্যের অভাবে হুমকির মুখে বান্দরবানের রাবার শিল্প

0

ন্যায্যমূল্যের অভাবে হুমকির মুখে বান্দরবানের রাবার শিল্প। বাজারে দাম না পাওয়ায় লোকসান গুণছেন চাষিরা। এতে দিন দিন রাবার চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। বেকার হওয়ার শঙ্কায় ৫০ হাজারের বেশি রাবার শ্রমিক। শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি স্থানীয় চাষি ও বাগান মালিকদের।

পাহাড়ি এলাকায় রাবার বাগান। গাছ থেকে ঝরছে সাদা রঙের ফোটা। বিশেষ পাত্রে জমা হওয়ার পর তা সংগ্রহ করেন শ্রমিকরা। এরপর নানা প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় রাবার।

পাহাড়ি অঞ্চলে রাবার তৈরির এই রীতি চলছে যুগের পর যুগ। পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলিকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার উঁচুনীচু ভূমিতে চাষ হয় রাবার গাছ। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় উৎপাদনও হয় ভাল। তবে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানে চাষি ও বাগান মালিকরা।

গাছ থেকে সংগ্রহ করা কাঁচামাল থেকে তৈরি প্রতিকেজি রাবারের দাম বাজারে ২৮৮ টাকা হলেও চাষিরা পাচ্ছেন মাত্র ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এতে উৎপাদন খরচ মেটাতেই হিমশিম অবস্থা চাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এতে রাবার চাষে কমছে আগ্রহ।

কর্মহীন হওয়ার শঙ্কায় রাবার শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকরা। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনেকের জীবিকা এখানে জড়িত আছে। উনারা স্মারকলিপি দিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরেছে। এটি আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর পৌঁছে দেবো।’

জেলার ১৫ হাজার একরের বেশি ভূমিতে চাষ হয় রাবার। এ শিল্পের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।

এএম