একসময় পালতোলা নৌকার সরগরমে থাকা ছোট যমুনা সুরু হতে হতে এখন প্রায় বিলীন হবার পথে। দীর্ঘদিন খনন না করায় নদীর তলদেশে জমেছে পলি। কোথাও ঘাস, কোথাও চাষ হচ্ছে বোরো ধান। এতে বছরে পানি থাকে অন্তত ৪ মাস।
নওগাঁর ওপর দিয়ে বয়ে চলা এই ছোট যমুনা খরা মৌসুমে শুষ্ক থাকলেও আবার বর্ষায় ধারণ করে ভয়ংকর রূপ। পাড় ভাঙার আতঙ্কে থাকেন নদী তীরের বাসিন্দারা। অথচ, ঠিকভাবে খনন করা হলে স্বল্প খরচে জমিতে সারা বছর চাষাবাদ সম্ভব।
একসময় এই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। নদী দিয়ে চলতো ধান, পাটসহ নানা কৃষিপণ্যের পরিবহন। এখন অবৈধ দখল আর দূষণে নদী হারাচ্ছে তার বৈচিত্র্য। নদী রক্ষা আইন থাকলেও হচ্ছে না তার কোন প্রয়োগ।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দেশের ৬৪ জেলার ছোট নদী ও খাল পুনঃখনন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে ১৯৫ কোটি টাকার প্রস্তাব। বরাদ্দ পাওয়া গেলে শুরু হবে নওগাঁর ছোট যমুনাসহ তিনটি নদী ও ৪৮টি খালের সংস্কার কাজ।
দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে উৎপত্তি হওয়া ছোট যমুনা নদী এই জেলায় এসে ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় ৯৩ কিলোমিটার জুড়ে। এই নদী রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।