চাঁদা না দেয়ায় নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ার অভিযোগ

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা | ছবি: এখন টিভি
1

চাঁদার টাকা না দেয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিএনপি নেতাদের যোগসাজশে বুধবার (২৩ জুলাই) থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা মেরে বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা কার্যক্রম। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লাভলী বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লাভলী বেগম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য মেম্বাররা কেউই ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে গেজেটের মাধ্যমে আমাকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, চরমোনাইসহ সব দলের নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের নতুন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ লিমন যোগদানের পর থেকে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতাদের যোগসাজশে আমার কাছ থেকে বরাদ্দের নামে চাঁদা দাবি করে আসছিল। সবশেষ গত দুই সপ্তাহ আগে সে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় গত বুধবার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. ইব্রাহিম, ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো. শাহেদ উদ্দিন, ৬নং ওয়ার্ডের যুবদল নেতা আশরাফ উদ্দিন ও ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মো. ইব্রাহিম আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে আর না যেতে বলেন। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসলে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ লিমনের যোগসাজশে তারা ইউনিয়ন পরিষদে তালা মেরে দেয়। আমাকে আরও তারা ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকতে দেয়নি। বুধবারের পর থেকে আজ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের কোন দাপ্তরিক কার্যক্রমও হয়নি।’

এ বিষয় জানতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ লিমনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়ায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে পরিষদে গিয়ে তালা খুলে কার্যক্রম স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছি। যদি এই কাজে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কোন সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরইমধ্যেই এ বিষয়ে একটি চিঠি করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রাপ্তির পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এখনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে বিষয়টির খবর নিচ্ছি।

সেজু