স্থানীয়রা জানান, গত ১৮ জুন স্কুলে যাওয়ার পথে স্থানীয় বখাটে সজীব ও তার সহযোগীরা প্রভাকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার দিনই পরিবার থানায় যোগাযোগ করলেও মামলা নেয়া হয়নি, কেবল নিখোঁজ ডায়েরি নেন পুলিশ। পরদিন ডায়েরি রেকর্ড করা হয়।
৩৮ দিন পর, গত ২৬ জুলাই থানায় অপহরণের মামলা নেয় পুলিশ। মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।
অপহৃত প্রভার বাবা বলেন, ‘স্কুলে যাওয়ার পথে সজিব নামের এক ছেলে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাইনি। প্রায় দুই মাস হয়ে গেল, তবুও মেয়েকে খুঁজে পেলাম না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
অপহৃতার মা শূন্য ঘরে মেয়ের বইয়ের তাকের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদেন প্রতিদিন। বারান্দায় বসে মেয়ের ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকেন বাবা।
ঈশ্বরগঞ্জ উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘চেষ্টা আরও জোরদার করলে মেয়েকে পাওয়া যেত। প্রশাসন যেন তৎপরতা বাড়ায়।’
আরও পড়ুন:
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান এখন টিভিকে বলেন, ‘আসামিরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না। তাই কোনো ক্লু না পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছেনা। ঘটনার দিন ছেলের মা কে পেয়েছিলাম কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নিতে না পারায় তাকে নিয়ে আসা যায়নি। তবে আসামি গ্রেপ্তার ও ভিকটিম উদ্ধারে কাজ চলছে।’
তবে ঘটনার দিন মামলা না নিয়ে জিডি নেয়া এবং জিডির বিষয়ে আদালতে প্রসিকিউশন না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি।
এদিকে নারী ও শিশু আদালতের আইনজীবী শাহজাহান কবীর সাজু এখন টিভিকে বলেন, ‘অপহরণের দু’মাস পার হতে চললেও ব্যবস্থা না নেয়া পুলিশের অসদাচরণ ও দায়িত্ব অবহেলার শামিল, যা প্রশাসনিক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মোবাইল ব্যবহার না করায় আসামি ধরতে না পারা বা ভিকটিম উদ্ধার না হওয়ার অজুহাত গোঁজামিল। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আসামি পক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ভিকটিম উদ্ধারে গড়িমসি করছেন ওসি।’
এ ধরনের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।