কুষ্টিয়ায় মাঠের পর মাঠ জুড়ে কৃষকের শত মেহনতে উৎপাদিত সোনা ঝরা পাকা ধানের সমারোহ। মৃদু হাওয়ায় দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।
গেলো কয়েক বছরের বৈরী আবহাওয়া পিছু ছাড়ায় এবার কমেছে সেচ, কীটনাশক ও সারের খরচ। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও হয়েছে ভালো। এখন ফসল ঘরে তোলার পালা। তাইতো বেড়েছে কৃষাণ কৃষাণীদের ব্যস্ততা।
মৌসুমের শুরুতেই উঠতি ধানের বাজার। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। আশানুরূপ দাম পাওয়ায় খুশি মেহনতি কৃষক।
কৃষকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এই বছর ফলন ভালো। পোকামাকড়ও কম আবার ঝড়-বৃষ্টির আগেই আমাদের ফসল ঘরে উঠেছে।’
তবে পুরোপুরি না পাকায় অনেক কৃষকে ধান এখনো মাঠে। তাই হঠাৎ কালবৈশাখীর শঙ্কাও রয়েছে অনেকের মনে। এমন অবস্থায় ফসল বাঁচাতে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি রফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি যে, এই বছর ৮০ ভাগ ধান পেকে গেলে যেন তারা বাড়িতে আনেন। কারণ যেকোনো মুহূর্তে ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হলে ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
কৃষি বিভাগের হিসেবে, চলিত মৌসুমে কুষ্টিয়ায় ৩৫ হাজার ৯৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে অন্তত দুই লাখ ৩০ হাজার টন ধান উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের।