আহতরা হলেন- মধ্য বিজবাগের ওমান প্রবাসী আজিজুল হক ওরফে হক সাব (৪২), তার ভাই সৌদি আরব প্রবাসী ইসমাইনুল হক আরমান (৩০), রাজু (৩০), মহিন উদ্দিন (৩৫), সাইফুল ইসলাম (৪৫), সোহাগ (৪৩)। আহতরা সবাই আত্মীয়স্বজন এবং একই বাড়ির সদস্য।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- বিজবাগ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন (৫০), মোস্তফা মানিক (৫৫), তার ছেলে হায়দার (২৫) ও জাবেদ (২২), জসিম উদ্দিন (৪০), সালাউদ্দিন (৪৫), শফিউল্লাহ (৪৩), ইমন হোসেন (২০), আজগর হোসেন (২১), সাগর (২৩), ইসলাম হোসেন (২০)।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিজবাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাকের হোসেন, হারুনুর রশীদ, নবীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার দেলোয়ার হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে শুক্রবার বিকাল ৪টায় দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশি বৈঠক বসে।
বৈঠকের এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা থেকে অভিযুক্তরা আজিজুল হক, ইসমাইনুল হক আরমান, রাজু, মহিনসহ ভুক্তভোগীদের ওপর হামলা চালায়। জাবেদ, মানিকসহ অভিযুক্তরা দা, ছোরা, লোহার অ্যাঙ্গেল সহ লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
হামলায় আহত আজিজুল হক, আরমান, রাজু, মহিন, সাইফুলকে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুজনকে মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হামলায় রাজু এবং আরমানের মাথা ফেটে গেছে। আহত সবার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। আহত রাজু বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
আহত আজিজুল হক ও আরমানের ভাই ছেরাজুল হক আরিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে, হামলায় আমার প্রবাস থেকে আসা দুই ভাইয়ের অবস্থা গুরুতর। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকে হামলার একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
