গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন। স্থবির কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া। ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ বলছে, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে বিল বকেয়া থাকায় সোমবার হঠাৎ করেই ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্যাস সংযোগ কেটে দেয়া হয়। প্রভাব পড়ে পুরো শিল্পাঞ্চলে। থমকে যায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম।
উৎপাদন সচল রাখতে আজ (মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ৭০ ভাগ কারখানা জেনারেটর ব্যবহার করে চালু রাখা হয়।
তবে জ্বালানি ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানায় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এভাবে চলতে থাকলে শিল্পখাতে বড় ধসের আশঙ্কা শিল্প মালিকদের।
সিকেডি লি. এর মেজর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিএম বলেন, ‘এই অবস্থা যদি বেশিদিন চলে, প্রতিদিন যদি আমাদের ৩৫ লাখ টাকা বেশি লাগে, তাহলে প্রায় ৭ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টাকা অতিরিক্ত লাগবে। প্রায় ১০ হাজার লোক আমাদের ফ্যাকটরিতে কাজ করে। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য ফ্যাকটরি চালানো সম্ভব নয়।’
ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলছেন, সংকট কাটাতে পল্লিবিদ্যুতের মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বর্তমানে ২৫ থেকে ২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সচল রয়েছে। এতে প্রায় ৭০ ভাগ কারখানা সচল রাখা সম্ভব। তবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পেলে সংকট কাটবে না বলেও জানান তিনি।
জ্বালানি সংকটে উৎপাদন স্থবির হয়ে পড়ায় ডিইপিজেডের অন্তত ৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
তারা বলছেন, দ্রুত সংকটের সমাধান না হলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও কারখানাগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। একইভাবে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারলে বিদেশি ক্রেতাদের বিশ্বাস হারানোর আশঙ্কাও করছেন উদ্যোক্তারা।