সমাবেশের শুরুতে নেতাকর্মীরা একটি ব্যানারে ২১ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করে তাদের ‘দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমদ রাহী বলেন, ‘আজ আমরা দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছি। পরবর্তীতে বাংলাদেশপন্থি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আরও একটি তালিকা প্রকাশ করব। আমরা দেখছি, এসব শিক্ষক এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হতাম, তাহলে তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে হাঁটতে পারতেন না। অতিদ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনুন, না হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামব।’
শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একপাক্ষিকভাবে, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। জামাতি চরিত্রের এ প্রশাসন রাকসু বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অথচ কিছুদিন আগেও আমরা রাকসুর দাবি জানিয়েছিলাম। তবে আমাদের দাবি ছিল, প্রশাসনের আওয়ামীপন্থি শিক্ষক, হাসিনার দোসর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার। তাদের বিচার ছাড়া রাকসু কার্যক্রম কখনোই সুষ্ঠু হতে পারে না।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘রাকসু নির্বাচন আসলে প্রশাসনের সাজানো নাটক।’ এরপর প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।