চীনের নতুন ‘ব্ল্যাক-আউট বোম্ব’ নিয়ে বিশ্বে হইচই

চীনের প্রকাশিত অ্যানিমেশন ভিডিও থেকে নেয়া বোম্বের ছবি
চীনের প্রকাশিত অ্যানিমেশন ভিডিও থেকে নেয়া বোম্বের ছবি | ছবি: সংগৃহীত
0

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘাত উত্তেজনার মধ্যে ‘ব্ল্যাক-আউট বোম্ব’ নামে নতুন এক অস্ত্র প্রকাশ্যে আনলো চীন। এই বোমার কার্যকারিতা এতটাই ভয়াবহ যে, শব্দ ছাড়া এক নিমিষেই এক লাখ সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুট এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অকেজো করে দিতে সক্ষম। সর্বোচ্চ ২৯০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম চীনের নতুন এ বোমা, যা পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনা, মারণাস্ত্রের ঝনঝনানি ও আধিপত্যের লড়াই সর্বত্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অস্ত্রের আধিক্য। এ অবস্থায় পশ্চিমাদের টক্কর দিয়ে সমরাস্ত্র শিল্পকে এগিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীন।

মে মাসে হওয়া ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তার প্রমাণও দেয় চীনা যুদ্ধবিমান। যেখানে ভারতের ভাণ্ডারে থাকা ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান রাফায়েলকে কুপোকাত করে পাকিস্তানের কাছে থাকা চীনা যুদ্ধবিমান জে-টেন।

সম্প্রতি পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান-ইসরাইল সংঘাতেও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নিয়ে তেহরানের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রাখতে দেখা গেছে বেইজিংকে।

এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে এখন কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে চীন। সমরাস্ত্রে পশ্চিমাদের চেয়েও বেইজিং এগিয়ে যাচ্ছে কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

এ অবস্থায়, চাঞ্চল্যকর এক খবর প্রকাশ করেছে দেশটির সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি। প্রকাশ করেছে ভয়ংকর এক নতুন অস্ত্র ‘ব্ল্যাক-আউট বোম্ব’ বা ‘গ্রাফাইট বোম্ব’ এর অ্যানিমেটেড ভিডিও।

‘ব্ল্যাক-আউট বোম্ব’ সামনে এনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কী বার্তা দিতে চাচ্ছে চীন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। বোমাটির বিশেষত্ব নিয়েও বাড়ছে কৌতূহল।

চীনের দেয়া তথ্য বলছে, ‘ব্ল্যাক-আউট বোম্ব’ নামক মিসাইলটি মূলত ‘ডাব্লিউ এস ৬০০এল’ সিরিজের। মিসাইলের মতো মাটি থেকেই ছোড়া হয় বিশেষ এ বোমা। 

এ বোমার কার্যকারিতা এতটাই ভয়াবহ যে, এক নিমিষেই এক লাখ সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুটের বেশি এলাকায় থাকা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরো অকেজো করতে সক্ষম এটি। কিন্তু বিস্ফোরণে হবে না কোনো শব্দ।

উচ্চ প্রযুক্তির বিশেষ এ বোমা একসাথে ৪৯০ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহণ করতে পারে এবং আর সর্বোচ্চ ২৯০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এটি। 

বোমাটি ছোড়ার পর ৯০টি সিলিন্ডারের মত অংশ আলাদা হয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এগুলো দিয়েই মূলত শর্ট-সার্কিট তৈরি করার মাধ্যমে ওই এলাকার বৈদ্যুতিক পরিষেবা অচল করে ফেলে।

অত্যাধুনিক এ বোমা কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, বরং কৌশলগত ও রাজনৈতিক উদ্দেশেও ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর এ ব্ল্যাক-আউট বোমা প্রকাশ্যে এনে চীন তার শত্রু দেশগুলোকে এক রকমের হুংকার দিয়ে রাখলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এসএইচ