স্পিকার পদের জন্য বায়না ধরেছে বিজেপির শরিক দল টিডিপি ও জেডিইউ

0

ভারতের রাজনীতিতে একের পর এক বোমা ফাঁটাচ্ছে বিজেপির শরিক দল টিডিপি ও জেডিইউ। নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেয়ার পর এবার বায়না ধরেছেন লোকসভার স্পিকার পদের। চন্দ্রবাবু নাইডু ও নিতিশ কুমারের দাবি, সংসদের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি তাদের চাই। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করেনি।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়ের পর টানা তৃতীয়বারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। গেল রোববার সন্ধ্যায় শপথ নিয়ে সোমবার ( ১০ জুন) সকালেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রথম কার্যদিবস পালন করতে দেখা যায় তাকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, নতুন সরকারের অধীনে জুনের ১৮ তারিখ থেকে শুরু হতে পারে পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন। সেক্ষেত্রে ২০ জুন পার্লামেন্টে স্পিকার নির্বাচনের কথা রয়েছে। স্পিকার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হলেও এখনও নির্ধারণ হয়নি ভারতের এবারের পার্লামেন্টের কে বসতে যাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ এ পদটিতে।

এর আগের দুবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটির পক্ষ থেকেই স্পিকার নির্বাচিত হন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুমিত্রা মহাজন ও ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ওম বিড়লা সংসদ স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।

তবে এবার গেরুয়া দলটি শরিক দলগুলোকে নিয়ে জোট সরকার গঠন করায় সংসদের স্পিকার পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরইমধ্যে চন্দ্রবাবুর নাইডুর টিডিপি ও নিতিশ কুমারের জেডিইউর পক্ষ থেকে স্পিকার নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ এই পদটি নিয়ে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান ভারতের রাজনীতিতে আলোচিত এই দুই রাজনীতিবিদ। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি।

লোকসভার স্পিকারের পদটি এক পর্যায়ের কৌশলী ক্ষমতা। যার হাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে সংসদের নিম্নকক্ষের।

সংসদ চলাকালীন কোন দলের সদস্যরা কতক্ষণ কথা বলতে পারবেন তা নির্ধারণ করেন তিনি। এছাড়া দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের একচ্ছত্র ক্ষমতা রয়েছে স্পিকারের। তাই টিডিপি ও জেডি এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় না।

সেজু