দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর অভিবাসীদের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। যার মধ্যে রয়েছে ইরান, আফগানিস্তান ও ইয়েমেন সহ বেশ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান ও উন্নয়নশীল দেশ।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানান, বিদেশি সন্ত্রাসীদের থেকে দেশকে রক্ষায় নেয়া হয়েছে এই পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রকে ইউরোপে পরিণত হতে দেয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আদেশটি কার্যকর হবে ৯ জুন থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দেশের ওপর যে ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তার ভিত্তিতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের থেকে দেশকে রক্ষা করে যাবো।’
এছাড়াও কিউবা ও ভেনেজুয়েলাসহ ৫টি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ বলছে, দেশগুলোর দুর্বল ভিসা ব্যবস্থার পাশাপাশি এর মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ঝুঁকি। যদিও মার্কিন প্রশাসনের কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করেছে বেশ কয়েকটি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।
ভেনেজুয়েলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিয়োসডাডো ক্যাবেলো বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকি নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রে ভেনেজুয়েলার নাগরিকেরাই ঝুঁকিতে রয়েছেন। ফ্যাসিস্টরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় রয়েছেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে ঘুরতে যাওয়াটাও বোকামি।’
এর আগে প্রথম মেয়াদে ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমান নিষেধাজ্ঞাটি আগের নীতির ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।