সাহসিকতার পুরস্কার পেলেন ইরানের টিভি উপস্থাপিকা সাহার

সাহার ইমামি
সাহার ইমামি | ছবি: আল জাজিরা
1

পুরস্কারে ভূষিত হলেন ইরানের সেই টিভি উপস্থাপিকা সাহার ইমামি। ইসরাইলি হামলার মধ্যেও টেলিভিশন লাইভে দায়িত্ব পালন করে তিনি। সাহসিকতার পুরস্কার হিসেবে ভেনেজুয়েলা তাকে ‘সাইমন বিলিভার’ পুরস্কার দেয়। হামলার ঘটনার পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন ইরানের এই সাহসী নারী সাংবাদিক।

গেল ১৬ জুন ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবির ভবনে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ঠিক সেই সময় টিভিতে লাইভে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলছিলেন উপস্থাপিকা সাহার ইমামি। তখনই প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ। ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে টিভি স্টেশনটিতে। এতে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী। কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায় চ্যানেলটির সম্প্রচার।

লাইভের শেষ সময়ের দৃশ্যে দেখা যায় হামলার পরও দমে না গিয়ে সংবাদ উপস্থাপনা করে যান উপস্থাপিকা ইমামি। হামলার এক ঘণ্টা না পেরোতেই আবারও লাইভ অনুষ্ঠানে ফিরে আসেন তিনি। তার এই সাহসিকতা ও পেশাদারিত্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাকে অপরাজেয় ও সাহসী হিসেবে আখ্যা দেয় বহু মানুষ।

এই সাহসিকতার জন্য ভেনেজুলেয়া সরকার ইরানি উপস্থাপিকা সাহার ইমামিকে ২০২৫ সালের ‘সাইমন বলিভার’ পুরস্কারে ভূষিত করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সাহসী সাংবাদিকতার পুরস্কার হিসেবে তাকে সম্মানিত করেন। এছাড়া হামলার সময় টিভি স্টেশনে কর্মরত সব সংবাদ কর্মীদের সাহস এবং পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন তিনি।

এদিকে উপস্থাপিকা ইমামি সাহসিকতার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে নিজের গোল্ড মেডেল উৎসর্গ করেন ইরানের অলিম্পিক জয়ী শুটার জাভাদ ফরৌঘি। ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইরানি নারীর সাহসের প্রতীক ইমামি।’

সাহার ইমামি মূলত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করলেও ২০১০ সালে সংবাদ উপস্থাপনায় আসেন। তিনি ইরানের সরকারি চ্যানেলে খবর উপস্থাপনা করে দেশজুড়ে পরিচিতি পান।

এসএস