ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত ১২ দিনে ৬ শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। অনেক রোগীকে ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে সেবা দেয়া হচ্ছে। কেউ আবার হাসপাতালের বারান্দায় ঠাঁই নিয়েছেন। আর শিশুদের জন্য বরাদ্দ এক একটি বেডে ৩ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রোগীর এক স্বজন বলেন, 'সিট পাওয়া যাচ্ছে না। ৫ দিন ধরে বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে আছি, এখনও সুস্থ হয়নি।'
এদিকে হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানে আইভি স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনো কোনো দোকানে ৯০ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রোগীরা বলেন, 'আমরা ডায়রিয়ার স্যালাইন হাসপাতাল থেকে পাচ্ছি না। আবার বাইরেও কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।'
জেলা সিভিল সার্জনের অফিস বলছে, চলতি মৌসুমে ৭ হাজার কলেরা স্যালাইনের চাহিদার বিপরীতে মাত্র ১২০০ স্যালাইন পাওয়া গেছে। রোগীর চাপ বাড়লে ১৬ নভেম্বর নতুন করে চাহিদাপত্র দেয়া হলেও এখনও সাড়া মেলেনি।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গনেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ডায়রিয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে এই মুহূর্তে সচেতনতার ওপর জোর দিতে হবে।