‘জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে’

জামায়াতে ইসলামীর আমির  ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান | ছবি: জামায়াত আমিরের ফেসবুক
3

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি সুস্থ রয়েছেন। এ মুহূর্তে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আজ (শনিবার, ২ আগস্ট) দুপুরে ওপেন হার্ট সার্জারি শেষে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য দেন।

সকাল সাড়ে ৮টায় জামায়াত আমিরের বাইপাস সার্জারি শুরু হয়। এ অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেন দেশের খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তার টিম। সার্জারি চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ডা. শফিকুর রহমানের সার্জারির আপডেট তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি সুস্থ রয়েছেন। এ মুহূর্তে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’

আরও পড়ুন:

পরে সার্জারির বিষয়ে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির। তিনি বলেন, ‘ডা. শফিকুর রহমানের দুটি ধমনিতে ৪টি বাইপাস করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে বাসায় যেতে পারবেন জামায়াত আমির।’

তিনি বলেন, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে আইসিইউ থেকে কেবিনে ট্রান্সফার করা হবে তাকে। এছাড়া আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক মাঠে ফিরতে পারবেন জামায়াত আমির।’

জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন |ছবি: এখন টিভি

ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘জামায়াত আমির ইউনাইটেড বা ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের কাছে অপারেশন করিয়েছেন, সেটা মুখ্য নয়। উনি বাংলাদেশে অপারেশন করিয়েছেন সেটাই মুখ্য। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা যে রয়েছে, সেটির দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দেশের চিকিৎসকের মাধ্যমেই উন্নত চিকিৎসা স্বল্প খরচে করতে পারে।’

এর আগে, ১৯ জুলাই ঢাকায় এক সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতের আমির। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৩০ জুলাই করা হয় এনজিওগ্রাম। তাতে ধরা পড়ে তার হৃদপিণ্ডের পাঁচটি আর্টারিতে ব্লক।

চিকিৎসকেরা বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও, দেশেই চিকিৎসা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ডা. শফিকুর রহমান।

সেজু