ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের কেউই পদে বহাল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচন কমিশনের নানা প্রস্তুতি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।’ তফসিল ঘোষণার বক্তব্য রেকর্ডের জন্য আগামীকাল বাংলাদেশ টেলিভিশনে চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে একইদিনে দুই ভোট অনুষ্ঠিত হবে, এবং নির্বাচনি সামগ্রী আগের রাতেই কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।’ ‘রাতের ভোটের মতো কোনো ঘটনা ঘটবে না’— আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান, এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা দিয়ে আর নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করানো হবে না।
আরও পড়ুন:
ভোট গ্রহণ সময়সূচি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোট চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। স্থান সংকুলান না হলে একটি কক্ষে একাধিক সিক্রেট বুথ স্থাপন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর প্রচারসামগ্রী অপসারণে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয়া হবে, পরে তা না মানলে আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পোস্টাল ব্যালট প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনব্যাপী পোস্টাল ব্যালট নিবন্ধন চলবে।’ দেশের ভেতরে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকারীরা স্থানীয় কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের সুবিধা নিতে পারবেন না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এছাড়া সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় বাজেট চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসির জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।’





