প্রতি বছর রমজানে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ মানুষ ওমরাহ পালনে সৌদি যান। কিন্তু এবার ঘটেছে বিপত্তি। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ ওমরাহ ভিসা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে সৌদি সরকার। এতে বিপাকে পড়েছেন ওমরার অপেক্ষায় থাকা প্রায় ২০ হাজার যাত্রী। অগ্রিম উড়োজাহাজ ভাড়া ফেরত পাওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নজরে আসলে পদক্ষেপ নেয়া হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা। উত্তরে রাষ্ট্রদূত জানান ভিসা বন্ধ করেনি সৌদি সরকার।
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘সৌদি রাষ্ট্রদূত বর্তমানে ছুটিতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। ডিওপত্রের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তিনি সচিবকে ফিরতি অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। অডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ করা হয়নি।’
তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘সৌদি ওমরাহ এজেন্ট কোম্পানি যদি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে তাহলে তারা বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের অনুকূলে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
কোটা পূর্ণ হওয়ায় ভিসার হার কমিয়েছে তারা। তবে ওমরাহ এজেন্সিগুলো যদি ওমরাহ যাত্রীদের হোটেল বুকিং বা রিজারভেশন ও এয়ারলাইন্সের টিকিটসহ সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্ট কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাহলেই মিলবে ভিসা।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট হজ ও ওমরা এজেন্সির প্রতিনিধিকে যাত্রীদের হোটেল বুকিং, রিজারভেশন, ফ্লাইটের টিকিটসহ সৌদি আরবের ওমরাহ এজেন্ট কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তিনি এটা সৌদি সরকারকে বললেই ইস্যু করবেন।’
এছাড়া বিমান টিকেটের টাকা ফেরতে বাংলাদেশ বিমান রাজি হলেও সৌদি এয়ারলাইন্স তারিখ পরিবর্তনে কথা বলছেন। তবে তা মানতে নারাজ হাব। ওমরা করতে না পারলে টাকা ফেরত দেয়ার দাবি হাবের।
হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘আমরা যখন যাবো তখন আবার টিকিট করে যাবো। এখনকার টিকিটের দাম হলো এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। সৌদি আরবে আমরা যখন যাবো হজের পর তখন টিকিটের দাম হবে ৭৫ হাজার।'
বিমানের টিকেট সংগ্রহ করেছেন এমন ওমরাহ যাত্রীরা যাতে রমজান মাসেই ওমরাহ পালন করতে যেতে পারেন সে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানা ধর্ম উপদেষ্টা।