তিনি বলেন, ‘আমি একা পারছি না, বিভিন্ন পর্যায় থেকে শুরু করে সংসদেও আলেমদের অংশগ্রহণ জরুরি।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ২২ জন উপদেষ্টাদের একজন। আমি তো গরম পানির ডেকচির মধ্যে পড়ে গেছি, আমার ডানে-বামে তো কেউ নেই সরকার পরিচালনায়। আরো মানুষ পাঠাতে হবে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে। অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে দিতে হবে, বিচার ব্যবস্থায় দিতে হবে, পুলিশে দিতে হবে, পার্লামেন্টে লোক দিতে হবে, তখন আমরা এদেশে কোরআন-হাদিসের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারবো।’
ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, ‘শুধু স্লোগান দিলেই হবে না। জুলাই বিপ্লবের পর যে সুযোগ এসেছে, আলেমদের তা কাজে লাগাতে হবে। একই সঙ্গে দেশে কোন ধরনের আইন চলবে তা দেশের আলেম সমাজ নির্ধারণ করবে।’
এসময় বিগত সরকারের সময়ে আলেমদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিতের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, শুধু এ সরকার নয়, ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় এসে কোরআনবিরোধী আইন বাস্তবায়ন করতে চাইবে দেশের মানুষ তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
অনুষ্ঠানে ‘৩১৩ মাশায়েখে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ১১৫২ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে আলেমদের জীবনী থেকে প্রেরণা ও শিক্ষণীয় নির্দেশনার কথা জানিয়ে বক্তারা বলেন, এর মধ্যে দিয়ে দেশের আলেম সমাজ নিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিতিসহ কার্যকর বিষয়গুলো ছড়িয়ে যাবে।