আংশিক উদ্বোধনের পর কেটেছে দেড় বছরেরও বেশি সময়। তবুও আলোর মুখ দেখেনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা, প্রকল্প পরিচালক পরিবর্তন ও নকশা জটিলতায় থমকে যায় টার্মিনালের অগ্রগতি। তবে জটিলতা কাটিয়ে ফের চালুর আলোচনায় আধুনিক এই টার্মিনাল।
টার্মিনালটি নিয়ে আর অপেক্ষা করতে চায় না বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে অবকাঠামোর কাজ। এখন চলছে ক্যালিব্রেশন ও ফাংশনাল কর্মকাণ্ড। ১৫ বছরের জন্য এই টার্মিনালটি জাপানের কাছে দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত সরকারের।
যদিও জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এখনও চুক্তি হয়নি বেবিচকের। তবে আলোচনা এগিয়েছে অনেকদূর।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা যে ১৫ বছরের যে চুক্তিটা করতে চাচ্ছি সেটাতে আমরা এনগেজ হয়েছি অলরেডি। উনাদের সঙ্গে অনেক ডিটেইল আমাদের আলোচনা হয়েছে। এই নেগোসিয়েশনটা একটু সময় লাগে। আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত শেষ করা যায়।’
জুলাইয়ে ঠিকাদার থেকে টার্মিনালটি বুঝে নেয়ার পর শুরু হবে চালুর প্রক্রিয়া। জাপানের দায়িত্ব নেয়ার পর ছয় মাসের মধ্যেই এই টার্মিনালকে অপারেশনে আনা সম্ভব বলে জানালেন বেবিচক চেয়ারম্যান।
এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘চুক্তিটা হওয়ার পরই কিন্তু তারা দ্রুত করার চেষ্টা করবে। তাদের রিক্রুটমেন্ট হবে, ট্রেনিং হবে, ম্যানপাওয়ার ঢুকাতে হবে, ইমারজেন্সি রান করতে হবে। এই জিনিসগুলো করার জন্যই সময় লাগে। আমরা সবই রেডি কিন্তু এগুলো না করে কিন্তু আমরা অপারেশনে যেতে পারবো না। অনেকে মনে করছে সবই তো দেখি বিল্ডিং রেডি হয়ে গেছে, কালকে থেকে অপারেশনে যেতে পারবো। বিশ্বের অনেক বিমানবন্দরেই কিন্তু অপারেশনে যাওয়ার পর বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। ছুটির দিন, রাত-দিন সব সময়ই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত করা যায়।’
অন্যদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের। তবে এ নিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাদের সুযোগ দেয়া হবে দুবছরের জন্য। এই দুবছরে তারা যদি যাত্রী চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়, তাহলে সিভিল অ্যাভিয়েশন বিকল্প হিসেবে আন্তর্জাতিক গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কোম্পানিকে নিয়োগ দিবে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হলে এই বিমানবন্দরের যাত্রী সেবা দেয়ার সক্ষমতা পৌঁছাবে বছরে দুই কোটিতে। বর্তমানে এই বিমানবন্দর ৮০ লাখ যাত্রী সেবা দিতে সক্ষম।