টানা দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। এশিয়া কাপ এবং ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতির দৌড় শুরু হয়েছে বেশ ভালোভাবেই। দলে বেড়েছে নিয়মিত পারফর্ম করা ক্রিকেটারের সংখ্যাও। তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন কিংবা জাকের আলী অনিকরা এখন দেশের ক্রিকেটে আস্থার নতুন নাম। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স উজ্জ্বল হলেও দলীয় পারফরম্যান্সের চিত্রটা খানিক দুশ্চিন্তায় রাখতেই পারে ক্রিকেট ভক্তদের।
২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান একেবারেই মিশ্র। চলতি বছর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে ১০০ ছক্কা হাঁকিয়েছে বাংলাদেশ। এ তালিকায় দুইয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছক্কা ৮৯টি। পাকিস্তানের ছক্কা ৮৪টি। প্রতি ম্যাচে বাংলাদেশের বড় রান করার প্রবণতা প্রতিনিয়তই বাড়ছে, সেটারই যেন প্রমাণ এই পরিসংখ্যান। কিন্তু এর বিপরীতে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও হেরেছে বাংলাদেশই।
২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে মোট ১২ ম্যাচ খেলে ৭ ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। চলতি বছর এই ফরম্যাটে এরচেয়ে বেশি ম্যাচ হারেনি কেউই। পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছে ৬টি করে ম্যাচ। একইসঙ্গে ২০২৪ সাল থেকে বিবেচনা করলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে হারও বাংলাদেশই। পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান ৩৮ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সেপ্টেম্বর মাসে এশিয়া কাপ। এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আপাতত ছুটি টাইগারদের। যদিও অধিনায়ক লিটন দাস চেয়েছেন আরও একটি সিরিজ খেলতে। সেই সিরিজ মাঠে গড়ালে নিজেদের দলগত পারফরম্যান্সে আরও ভালো কিছু করার দিকেই হয়ত নজর থাকবে বাংলাদেশ দলের।