
ফিরে দেখা ২৫ জুলাই: সারাদেশে চলে গণগ্রেপ্তার
চব্বিশের ২৫ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে গণগ্রেপ্তার চলে। গত ৯ দিনে (১৭ থেকে ২৫ জুলাই) সারাদেশে কমপক্ষে পাঁচ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীতে ২ হাজার ২০৯ জন, চট্টগ্রামে ৭৩৫ জন, বরিশালে ১০২ জন, নরসিংদীতে ১৫৩ জন ও সিলেটে ১২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফিরে দেখা ২১ জুলাই: কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল; সারাদেশে সংঘর্ষে আরও ১৯ জন নিহত
কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়ার পর ২০২৪ সালের ২১ জুলাই (রোববার) সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সরকারি চাকরিতে সাত শতাংশ কোটা ব্যবস্থা রেখে বাকি ৯৩ শতাংশ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগকে অনতিবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

গোপালগঞ্জে চলছে ১৪৪ ধারা: সীমিত পরিসরে খোলা শহরের দোকানপাট
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে সংঘর্ষের জেরে আজও (রোববার, ২০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। ১৪৪ ধারা চলমান থাকায় একসঙ্গে ৪ জনের বেশি জড়ো না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে সীমিত পরিসরে খোলা আছে শহরের দোকানপাট।

গোপালগঞ্জে কোনো গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে এসেছে। বর্তমানে সেখানে কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে এবং ধাপে ধাপে ১৪৪ ধারাও তুলে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।’

ফিরে দেখা ২০ জুলাই: দেশজুড়ে কারফিউ জারি ও সেনা টহল জোরদার, সংঘর্ষে নিহত ৩৭
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের টানা দুই দিনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানির পর ২০২৪ সালের ২০ জুলাই (শনিবার) দেশজুড়ে কারফিউ জারি ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়। প্রথম দফায় ১৯ জুলাই (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২০ জুলাই (শনিবার) দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারফিউ চলে। মাঝে দুই ঘণ্টার বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে আবার কারফিউ শুরু হয়। ২১ জুলাই (রোববার) বিকেল ৩টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়।

গোপালগঞ্জে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষের পর জারি করা কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। আজ (শনিবার, ১৯ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ। গতকাল (শুক্রবার, ১৮ জুলাই) দিবাগত রাত ১১টার দিকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান এক ঘোষণায় এ তথ্য জানান।

গোপালগঞ্জে তিন ঘণ্টা বিরতির পর ফের কারফিউ
তিন ঘণ্টার বিরতির পর আবারও গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে কারফিউ। আজ (শুক্রবার, ১৮ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে এ কারফিউ কার্যকর হয়েছে, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চলবে। এর আগে, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল।

গোপালগঞ্জে কারফিউতে ৩ ঘণ্টার বিরতি
গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউতে তিন ঘণ্টার বিরতি শুরু হয়েছে। আজ (শুক্রবার, ১৮ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে এ বিরতি শুরু হয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত এ বিরতি চলবে। কারফিউ বিরতি শেষে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে।

গোপালগঞ্জে কারফিউ: বন্ধ দোকানপাট, সড়কে সীমিতসংখ্যক রিকশা ও হালকা যান
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে বুধবার (১৬ জুলাই) দিনভর সংঘাত-সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনার পর রাত থেকেই কারফিউ চলছে। গতকাল রাত ৮টায় শুরু হওয়া ২২ ঘণ্টার এ কারফিউ চলবে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

গোপালগঞ্জ শহরজুড়ে সুনসান নীরবতা
গোপালগঞ্জ শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়ি বহরে হামলাকে কেন্দ্র করে টানা ৪ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দিনভর সংঘাত আর হতাহতের পর রাতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে গোপালগঞ্জ শহরজুড়ে। নিরাপত্তা বাহিনীর টহল আর সাইরেন ছাড়া পুরোটাই সুনসান নীরব কারফিউ'র আওতায় এ শহর। সাধারণ জনগণের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ আর আতঙ্ক। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন রেঞ্জ থেকে আনা হচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের।

কারফিউতে জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ
গোপালগঞ্জে আগামী ২২ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জীবন-মৃত্যুর মত পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

কারফিউ ভেঙে ১৭ শহরে বিক্ষোভ, ট্রাম্প জানেন না কিছুই
লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারির পর অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ১৭টি শহরে। লস অ্যাঞ্জেলেসে টানা ৬ষ্ঠ দিনের বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের থামাতে গণহারে ধরপাকড় করছে পুলিশ। যদিও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অন্যদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়রের দাবি, আন্দোলনকে উসকে দিয়েছে হোয়াইট হাউস।