সুনসান গোপালগঞ্জ শহর। সাধারণত বড় একটা বিপর্যয়ের পর যেমনটা হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মসূচি ঘিরে এখানে যে কারফিউয়ের ঘোষণা এবং সেটি যে সাধারণ কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে নয়, তার চিহ্ন পুরো শহরের সড়কে সড়কে। এনসিপি নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বানানো হয়েছিলো যেসব তোরণ, তা ভেঙেচুরে পড়ে আছে সড়কের ওপর। সড়কের ওপর জমা ইট, পাটকেল, বন্ধ দোকানপাট সবকিছুই জানান দিচ্ছে একটা চাপা উত্তেজনা। বাতাসে টিয়ারগ্যাসের গন্ধ।
কারফিউ জারির পর সড়কে সড়কে চেকপোস্ট বসানো বা ব্যাপক তল্লাশির তেমন কোন চিত্র দেখা যায় নি। আর পরিস্থিতি এমন যেন কারফিউর নিয়ম মেনে চলছিলো সবাই। তবে এত কিছুর মধ্যেও ছিলো চাপা উত্তেজনা।
গোপালগঞ্জের সংঘাতের জের দেখা গেছে সন্ধ্যার পর থেকেই মহাসড়কে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে শহরে প্রবেশের মোটামুটি ২০ কিলোমিটার পথে বড় গাছ কেটে তৈরি করা হয় প্রতিবন্ধকতা। এর কারণে যে যানজট তৈরি হয় স্থানীয় জনতা, পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস আর সেনাবাহিনী মিলে তা স্বাভাবিক করতে সময় লেগে যায় রাত ৮টা।