গোপালগঞ্জ শহরজুড়ে সুনসান নীরবতা

ভেঙেচুরে রাস্তায় পড়ে আছে এনসিপি নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বানানো তোরণ
ভেঙেচুরে রাস্তায় পড়ে আছে এনসিপি নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বানানো তোরণ | ছবি: সংগৃহীত
1

গোপালগঞ্জ শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়ি বহরে হামলাকে কেন্দ্র করে টানা ৪ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দিনভর সংঘাত আর হতাহতের পর রাতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে গোপালগঞ্জ শহরজুড়ে। নিরাপত্তা বাহিনীর টহল আর সাইরেন ছাড়া পুরোটাই সুনসান নীরব কারফিউ'র আওতায় এ শহর। সাধারণ জনগণের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ আর আতঙ্ক। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন রেঞ্জ থেকে আনা হচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের।

সুনসান গোপালগঞ্জ শহর। সাধারণত বড় একটা বিপর্যয়ের পর যেমনটা হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মসূচি ঘিরে এখানে যে কারফিউয়ের ঘোষণা এবং সেটি যে সাধারণ কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে নয়, তার চিহ্ন পুরো শহরের সড়কে সড়কে। এনসিপি নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বানানো হয়েছিলো যেসব তোরণ, তা ভেঙেচুরে পড়ে আছে সড়কের ওপর। সড়কের ওপর জমা ইট, পাটকেল, বন্ধ দোকানপাট সবকিছুই জানান দিচ্ছে একটা চাপা উত্তেজনা। বাতাসে টিয়ারগ্যাসের গন্ধ।

কারফিউ জারির পর সড়কে সড়কে চেকপোস্ট বসানো বা ব্যাপক তল্লাশির তেমন কোন চিত্র দেখা যায় নি। আর পরিস্থিতি এমন যেন কারফিউর নিয়ম মেনে চলছিলো সবাই। তবে এত কিছুর মধ্যেও ছিলো চাপা উত্তেজনা।

গোপালগঞ্জের সংঘাতের জের দেখা গেছে সন্ধ্যার পর থেকেই মহাসড়কে। বিশেষ করে ঢাকা থেকে শহরে প্রবেশের মোটামুটি ২০ কিলোমিটার পথে বড় গাছ কেটে তৈরি করা হয় প্রতিবন্ধকতা। এর কারণে যে যানজট তৈরি হয় স্থানীয় জনতা, পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস আর সেনাবাহিনী মিলে তা স্বাভাবিক করতে সময় লেগে যায় রাত ৮টা।



ইএ