
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে রাজধানীতে সাইকেল র্যালি
ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ ও বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাইকেল র্যালি। আজ (শুক্রবার, ১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আয়োজিত এ র্যালিতে অংশ নেন প্রায় ২০০ সাইক্লিস্ট।

দেশে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা
দিন যত যাচ্ছে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত প্রায় ১৫ হাজার জন। এরইমধ্যে গত জুনে আক্রান্ত ছিল ৫ হাজার ৯৫১ জন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫৫ জন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, দ্রুত সামাল দিতে না পারলে আগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।

অব্যাহত ডেঙ্গু সংক্রমণ, দুই সিটি করপোরেশনের ভূমিকা কী!
এবছর মৌসুমের আগেই বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বর। কয়েল জ্বালিয়ে বা অ্যারোসল দিয়েও মিলছে না মুক্তি। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) জরিপ বলছে, দুই সিটির ১৩টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্ধারিত মানদণ্ডের চেয়েও বেশি। অভিভাবকশূন্য সিটি করপোরেশনে ভাটা পড়েছে কাজের ধারাবাহিকতায়, কমেছে মশক নিধন কার্যক্রম।

এবার ডেঙ্গুর সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে চিকুনগুনিয়া; বড় প্রাদুর্ভাবের শঙ্কা
এবার ডেঙ্গুর সঙ্গে চিকুনগুনিয়া মারাত্মক হারে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আইইডিসিআর বলছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৬০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে চিকুনগুনিয়ায়। ২০১৭ সালের মতো এবারো চিকুনগুনিয়ায় বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের শঙ্কার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে চিকুনগুনিয়ায় সাধারণত মৃত্যু না হলেও এবার বিশ্বব্যাপী ৪৬ জনের মৃত্যু ভাবাচ্ছে সবাইকে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীতকালেও ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে
সিরডাপ মিলনায়তনে বিপিএমসিএর আলোচনা সভা
জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে শীতকালেও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে, ফলে বছরজুড়েই ডেঙ্গুর দাপটে বাড়ছে প্রাণহানি। এডিস মশার কারণে শুধু ডেঙ্গু নয়, জিকা ভাইরাস এবং চিকুনগুনিয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বছরের বাকি সময়েও থাকবে ডেঙ্গুর প্রকোপ, বাড়বে সংক্রমণ-মৃত্যু
চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরেও থাকবে ডেঙ্গুর প্রকোপ। নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সংক্রমণের সঙ্গে বাড়বে মৃত্যু। চিকিৎসকরা বছেন, ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশু ও বয়স্করা। সচেতনতার পাশাপাশি, জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করার পরামর্শ তাদের।

অক্টোবরে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে অক্টোবরের মাঝামাঝিতেই সেপ্টেম্বরের চেয়ে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ফলে একদিকে সিট সংকট অন্যদিকে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে তাই হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক এবং নার্সদের। শক সিনড্রোমে গিয়ে আইসিইউতে ভর্তি রোগীদেরই মৃত্যু বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে যেন আভাস মিলছে অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির।

ডেঙ্গুতে আরো ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২২১
বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এডিস মশা জনিত রোগে শুধু শনিবারই মারা গেছেন ৮ জন রোগী। যা কিনা চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। একইসঙ্গে এসময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১ হাজার ২২১ জন। প্রচণ্ড জ্বর, ব্যথা কিংবা শরীর ব্যথা, বমি, রক্তক্ষরণের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

শিশুদের ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে
দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ। উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে শিশুদের আক্রান্তের হারও। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিশু, যাদের বয়স ১০ বছরের নিচে। এদের বেশিরভাগই উন্মুক্ত স্থানে কাজ করা নিম্নআয়ের পরিবারের। তাই সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে মশা নিধনের কার্যকর পদক্ষেপের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

সাপোর্ট ছাড়া ডেঙ্গু রোগী ঢাকায় স্থানান্তর, বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি
ফ্লুইড সাপোর্ট ছাড়া ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী রেফার্ড করার কারণে শক সিন্ড্রোমে চলে গিয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে রোগীদের। এদিকে, ঢাকার বাইরের রোগীর চাপে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। কোনো হাসপাতালেই সিট খালি নেই। জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মশা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে: ঢাদসিক প্রশাসক
মশা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কার্যক্রমের বিষয়ে প্রতিদিন গণমাধ্যমকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) প্রশাসক ড. মহ. শের আলী। এছাড়াও করপোরেশনের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য প্রকাশের নির্দেশও দিয়েছেন।

অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধ্ব পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ার শঙ্কা
স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। গবেষকরা বলছেন, সংক্রমণ রোধে ডেঙ্গুর হটস্পটগুলো চিহ্নিত করতে হবে। না হলে অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধ্ব পর্যন্ত ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে মৃত্যু। অন্যদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো বলছে, হাসপাতাল থেকে যথাযথ তথ্য না পাওয়ায় হটস্পট চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।