নেত্রকোণায় আবাদকৃত প্রধান শস্যই হলো ধান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার ধান উৎপাদন এ জেলায়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যা সরবরাহ করা হয় অন্যান্য জেলায়। তবে দিন দিন কমছে আউশের উৎপাদন।
বোরো ফসল ঘরে তোলার পর সদর উপজেলার অধিকাংশ উঁচু জমি তিন মাসের বেশি সময় অনাবাদি থাকে। বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে মাঠ চাষের উপযোগী হলেও কৃষকের দেখা নেই। একসময় এসব জমিতে আউশের আবাদ হলেও, বীজ আর ফসল কম হওয়ায় আউশের আবাদে অনাগ্রহী কৃষক। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে চাষে। ফলে চলতি বছর জেলায় আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর থাকলেও অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৬৭২ হেক্টর। যা গেল বছরের চেয়ে প্রায় ২০০ হেক্টর কম।

কৃষকেরা জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি কম হচ্ছে। জমিতে পানি থাকছে না ফলে, আউশের চাষ কমে যাচ্ছে। পূর্বে জমিতে তিনটি ফসল উৎপাদন করা হতো, বর্তমানে দুটি ফসল চাষ করতে পারছেন তারা।
জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় আউশের পরিবর্তে আমন ধানের আবাদকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কৃষকরা। দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় আগাম রোপা আমন চাষ শুরু করেছেন তারা। আমন ঘরে তোলার পর বোরোর আগেই সরিষা আবাদের আশা কৃষকের।
এদিকে আউশের উৎপাদন বাড়াতে প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। যার অংশ হিসেবে বিনামূল্যে সার ও বীজ পাচ্ছেন কৃষক।
নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, যেখানে আমাদের উপযোতাগিতা ভালো আছে, সেখানে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষথেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে।
চলতি বছর নেত্রকোনায় ১ হাজার ৬৭২ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে ২০ কোটি টাকার বেশি ফসল উৎপাদনের প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।