মাঠে মাঠে সোনালি ধানের ঢেউ। বাতাসে পাকা ধানের মিষ্টি গন্ধ। কৃষকরা ব্যস্ত কষ্টে ফলানো ধান কাটতে। কৃষকের ঘাম যেন মিশছে মাটির সুবাসে। এবছর আমনের ভালো ফলনে হাসি কৃষকের মুখে।
তবে এ আনন্দের মাঝেই ধান কাটার শ্রমিক সংকটে কৃষকের চেহারায় চিন্তার ভাঁজ। শ্রমিক সংকটে ধান পাকার পরও ফসল কাটতে পারছেন না অনেকেই । বেশি মজুরি দিয়েও মিলছে না শ্রমিক।
কৃষকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘দিনমজুর পাওয়া যাচ্ছে না, পাওয়া গেলেও ৮০০ থেকে হাজার টাকা হাজির প্রতিদিন। সেজন্য পোষায় না, নিজেরাই কাজ করি।’
আরও পড়ুন:
ধামরাইয়ের কৃষকরা এ বছর বিআর-৪৯, বিআর-৩২, বিআর-৭, বিআর-১৭, বিআর-৩৪, জিরা বাদামসহ বিভিন্ন হাইব্রিড ও উন্নত জাতের ধানের চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচে পড়েছে বাড়তি চাপ।
কৃষকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘জমিতে যে খরচ হয়েছে, সে খরচের টাকা উঠবে না। সারের দাম যদি কমিয়ে দেয় সরকার, তাহলে আমরা কৃষকরা খুশি হবো।’
ধানের ভালো ফলন পেতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় সব জায়গায় শ্রমিকের চাহিদা থাকায় সাময়িক শ্রমিক সংকট তৈরি হয়েছে, বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
ধামরাইয়ের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ‘কৃষকরা অনুকূল পরিবেশ পেয়ে চাষ করেছে। আমাদের আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আট হাজার ৫৬০ হেক্টর, সেটা ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের প্রায় ১০ হাজার হেক্টরের মতো আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। সফলভাবেই কৃষকরা আমন ধান ঘরে তুলতে পারছে।’
ধামরাই উপজেলায় এবছর আমনের আবাদ হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে।




