এসময় জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, সুলতান ফাউন্ডেশনের সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন, জেলা তথ্য অফিসার মো. রোস্তম আলী, নড়াইল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও সুলতান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সুলতান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ লাবলু, এসএম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ হানিফ, সুলতান ফাউন্ডেশনের কিউরেটর তন্দ্রা মূখার্জী ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু সুলতান উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মহান শিল্পীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া হোসাইন। এর আগে ভোর ৬টায় শিল্পীর বাসভবনে কোরখানি অনুষ্ঠিত হয়।
১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট শিল্পী সুলতান নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজমিস্ত্রি পিতা মেছের আলীর নান্দনিক সৃষ্টির ঘষামাজার মধ্য দিয়ে ছোটবেলার লাল মিঞার (সুলতান) চিত্রাঙ্কনে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ হয়। ১৯৪৬-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত শিল্পী সুলতানের ছবি ভারতের সিমলা, পাকিস্তানের লাহোর, করাচি, নিউইয়র্ক, বোস্টন, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন, এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রদর্শিত হয়।
চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা হিসেবেও স্বীকৃতি পান তিনি। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তাঁর নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর চিরকুমার,অসাম্প্রদায়িক এই শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। নড়াইলের নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় তাকে সমাহিত করা হয়।