জয়পুরহাটে আলুর ফলন ভালো হলেও লোকসানে কৃষক

0

আলুর ফলন ভালো হলেও হাসি নেই জয়পুরহাটের কৃষকের মুখে। ভরা মৌসুমেও ১০-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। লাভ হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা জেলার চাষিদের মাঝে। এজন্য সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা ও পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগার না থাকার অভাবকে দুষছে কৃষি বিভাগ।

জয়পুরহাটের মাঠ জুড়ে আলুর খেত। তিন মাসের পরিচর্যা শেষে চলছে আলু তোলার কর্মযজ্ঞ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। তবে স্বস্তি নেই কৃষকের মনে।

কৃষকরা বলছেন, এবার প্রতিবিঘা জমিতে ৮০ থেকে ১শ' মণ আলু হয়েছে। ফলন ভালো হলেও ১০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করে লাভ থাকছে না। বাড়তি দামে আলুর বীজ, সার কেনা থেকে শুরু করে সেচ দেয়া পর্যন্ত খরচ হয়েছে বেশ। এ অবস্থায় লোকসানের শঙ্কায় চাষিদের মাথায় হাত।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবার অধিক জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এছাড়া, আগাম জাতের আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কেউ হিমাগারে রাখে না। ফলন ভালো হওয়ায় কম দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, আলুর দাম কমার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বিশেষ করে চাহিদার চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হলেও নেই সঠিক বিপণনের ব্যবস্থা। এছাড়া বড় আকারের সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবকে দুষছেন কৃষি কর্মকর্তা।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ অতিরিক্ত উপপরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, ‘ প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে আলুটা আমরা উৎপাদন করি এই আলুটা রপ্তানি করার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে কৃষকরা ভালো দাম পাবেন। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আলু রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং এখান থেকে আলু রপ্তানি হচ্ছে।’

জয়পুরহাটে এবার ৪৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। যেখানে থেকে প্রায় ৯ লাখ টন বিভিন্ন জাতের আলু উৎপাদন হবে।

এএম