এসময় একই মামলায় মন্ত্রীর ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল ও ভগ্নীপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস আসামি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সন্ত্রাস দমন ও জামায়াত নেতা জব্বার হত্যা মামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবু সালেহ মোহাম্মদ নাছিম আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে বিজ্ঞ আদালতে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর মঞ্জুর করেন।
একই সাথে মন্ত্রীর ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল দুটি মামলায় ৪দিন ও ভগ্নীপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে দুটি মামলায় মোট ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শারমিন নাহার এ আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন।
এর আগে বৃহস্পতিবার জামায়াত নেতা তারিখ হত্যা মামলায় জেলগেটে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। মেহেরপুর জেলা কারাগার থেকে আজ সকাল ১০টার দিকে আসামি হিসেবে ফরহাদ হোসেন ও তার ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল ও ভগ্নীপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নেওয়া হয়। সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর আদালতে হাজিরা থাকায় কারাগার সহ আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল।
এদিকে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আদালতে হাজির করার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আদালতে অবস্থান নেন। এসময় খুনি দোদুলের ফাঁসি চাই স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর।
৫ আগস্ট মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর হামলার ঘটনায় রাশেদুল ইসলাম সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। এছাড়াও জামায়াত নেতা তারিক হত্যার অভিযোগে ফরহাদ হোসেনকে আসামী করে তারিকের ভাই তাওফিকুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দুটির আসামি হিসেবে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে গত বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মেহেরপুরে নিয়ে আসে জেলা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর আত্মগোপন করেন ফরহাদ হোসেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে হত্যা মামলায় তাকে আটক করেছিল র্যাব। তার নামে রাজধানী ঢাকাসহ মেহেরপুরে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে।