শীতকালে কাঁঠাল চাষ করে সাড়া ফেলেছেন চুয়াডাঙ্গার তরুণ উদ্যোক্তা

0

শীতকালেই গ্রীষ্মকালীন কাঁঠাল চাষ করে সাড়া ফেলেছেন চুয়াডাঙ্গার তরুণ উদ্যোক্তা সজল আহমেদ। এর মধ্য দিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে জেলার যুবকদের। এ থেকে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন নতুন উদ্যোক্তারা।

শীতকালেই গ্রীষ্মকালীন কাঁঠাল চাষ করে বেশ সাড়া ফেলেছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা। চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী উপজেলা জীবননগরের বাসিন্দা সজল আহমেদ। দেড় দশক আগে পড়াশুনা ছেড়ে ৭ বিঘা জমিতে শুরু করেন সমন্বিত চাষ। এক বাগানেই রোপণ করেন বরই ও পেয়ারার চারা। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই মেলে সফলতা।

৫ থেকে ৬ কেজি ওজনের প্রতিটি কাঁঠাল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪শ'-৫শ' টাকায়। অসময়ে পাকায় এই কাঁঠালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। এছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে ইয়েলো মাল্টা, বিভিন্ন জাতের কমলা, পেয়ারা, স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন ফল চাষ করছেন সজল। এর মধ্য দিয়ে গ্রামের যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেন তিনি।

শুধু কাঁঠাল নয়, তার বাগানে মাল্টারও চাহিদা রয়েছে বেশ। গাছের থোকায় থোকায় এসব মাল্টার বাগান দেখতে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। কেউবা ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউ আবার স্বাদ নিচ্ছেন নানা জাতের ফলের।

সজলের দাবি, উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় সমন্বিত বাগান গড়ে তোলেন তিনি। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে বড় পরিসরে এসব ফলের চারা দেশের নানা স্থানে পাঠাতে চান এই উদ্যোক্তা।

জীবননগর মানিকপুর কৃষি উদ্যোক্তা সজল আহম্মেদ বলেন, ‘ জানুয়ারি মাসে কোথাও কোনো মাল্টা থাকে না। বাংলাদেশের সর্ব প্রথম হলুদ মাল্টা বাগান এটা যা খুবই লাভজনক।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, বাজারে বারোমাসি কাঁঠাল আর মাল্টার চাহিদা রয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সঙ্গে কাজ করছে। সেখানে কৃষকদের বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক ট্যুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদের এ সম্পর্কিত ধারণা তৈরি করে চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে তারা উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেরাও করা শুরু করে।’

প্রতিবছর সমন্বিত বাগানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার চারা আর ফল বিক্রি করেন এই তরুণ উদ্যোক্তা।

এএম