নতুন বছর বরণে বগুড়ায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে বগুড়ায় কুমোর ও বিভিন্ন খেলনা প্রস্তুতকারীদের কাজের চাপ বেড়েছে। ছবি: এখন টিভি | এখন টিভি
0

বগুড়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে চলছে জোর প্রস্তুতি। কুমার পল্লিতে তৈরি হচ্ছে মাটির খেলনা ও তৈজসপত্র। সেই সাথে শহরের মার্কেটগুলোতে বেড়েছে লাল-সাদা বৈশাখী পোশাকের কেনাকাটা। তবে প্রবীণদের মতে আগের মতো বৈশাখীর আয়োজন অনেকটাই কমে গেছে। পরবর্তী প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে বড় পরিসরে বর্ষবরণ আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সূর্যের ক্ষিপ্রতার মধ্য দিয়ে আবহাওয়া দিচ্ছে বৈশাখের আগমনী বার্তা। সবুজ পাতায় ঢেকে সতেজ হয়েছে প্রকৃতি। ঋতুর এই পরিবর্তনের সাথে বাংলা নতুন বর্ষবরণে চলছে নানান প্রস্তুতি।

বৈশাখী মেলায় বিক্রির জন্য মাটির খেলনাসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত বগুড়ার কুমারপল্লী। শেষ সময়ে চলছে রঙের কাজ। একইসাথে ব্যস্ততা বেড়েছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার খোলাশ গ্রামে। এখানে তৈরি হওয়া মাটির বাঁশি, কাঠের গাড়িসহ এসব খেলনার চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।

খেলনা প্রস্তুতকারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'ঢাকা, খুলনা, বরিশাল সব জায়গায় এই খেলনা যায়। মাটির খেলনা, পাখি, ফুল এসব বিক্রি করা হয়, বাঁশও আছে। বৈশাখে কাজ বেশি হয়। এজন্য দুই মাস আগে থেকে একটা চাপ থাকে।'

এদিকে জেলার শপিংমলগুলোতেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। বিপণিবিতানে শোভা পাচ্ছে লাল সাদা বৈশাখী সাঁজের পোশাক। বেচাবিক্রি বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন বলেন, 'বৈশাখের কালেকশন যা ছিল তা প্রায় শেষের দিকে।'

এছাড়া বৈশাখী মেলায় প্রদর্শন করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, গ্রামাঞ্চলে ব্যবহৃত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জিনিসপত্রের সংগ্রহশালা। কলের গান, মাতুল, জোয়াল, হারিকেনসহ প্রায় শতাধিক হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র রয়েছে লোক সংস্কৃতি সংগ্রহশালায়।

সংগ্রহশালার একজন বলেন, 'যদিও আমাদের আধুনিকতার ছোঁয়া অবশ্যই থাকবে। তারপরও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেখানোর জন্য আমরা এই সংগ্রহশালাটা করেছি।'

এতসব আয়োজন থাকলেও বর্ষবরণে তৃপ্তি নেই প্রবীণদের মাঝে। তারা বলছেন, আগের চেয়ে বৈশাখী মেলার পরিধি কমেছে। আগের মতো বড় পরিসরে বর্ষবরণের আয়োজন করতে রাষ্ট্রীয় ভাবে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান অনেকেই।

কবি ও প্রাবন্ধিক বজলুল করিম বাহার বলেন, 'সংস্কৃতিকে যদি জিইয়ে না রাখা ঞয়, প্রাণ দিয়ে না রাখা হয় তাহলে কারা এটা করবে? খন এটা লোক প্রশাসন বা রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যাদের উপর দায়িত্ব দেয়া হয় ছোটখাট একটা জায়গায় পালন করে তারা দেখালো। কিন্তু ওইভাবে গড়ে উঠেনি কোনো মানুষ।'

এসএস