টাকার বিনিময়ে অন্য হাতে যাচ্ছে পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘর

ফরিদপুরে কৃষকের পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘর
ফরিদপুরে কৃষকের পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘর | ছবি: এখন টিভি
0

ফরিদপুরের পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত যোগ্য কৃষকদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য কৃষকদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর যারা এই মডেল ঘর পাচ্ছেন, মৌসুম শেষ হলেও শেষ হয়নি তাদের ঘরের নির্মাণ কাজ।

ফলন ও দাম ভাল হওয়ায় প্রতিবছরই ফরিদপুরের সালথা ও বোয়ালমারীতে বাড়ছে পেঁয়াজের আবাদ। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে এখানকার উৎপাদিত পেঁয়াজের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন চাষীরা।

এই সমস্যা নিরসনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের অধীনে ফরিদপুরের দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গত বছরের নভেম্বর মাসে পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘর নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

প্রকল্পের অধীনে দুই উপজেলাতে ৪৫টি করে মোট ৯০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩০ মার্চ ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ চাষীদের।

ঘর বিতরণেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। এ বিষয়ে কোন মতামত নেয়া হয়নি সালথা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের। এমনকি উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের পাঠানো কৃষকদের তালিকার কেউই পাননি ঘর।

ফরিদপুর জেলার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জানান, প্রকল্প বিষয়ে কৃষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে ঘরগুলো কৃষকদের সুবিধার্থে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। যারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারাই অভিযোগ তুলছে বলে দাবি তার।

প্রতিটি ঘর মাত্র এক শতাংশ জমিতে টিন-বাঁশ, লোহা ও কংক্রিটের সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে। যার আয়তন ৩৭৫ বর্গফুট। একটি ঘরে আলাদা আলাদা স্তরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবেন অন্তত পাঁচজন কৃষক। মডেল ঘরে সংরক্ষণ করে পেঁয়াজ নয় মাস পর্যন্ত ভালো রাখা সম্ভব।

এএইচ