মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজাপুরের হাসান আলী একজন সফল খামারি। প্রবাস ফেরত এ যুবক গড়ে তুলেছেন নিজের খামার, পেয়েছেন সফলতাও। এ বছর চারটি মহিষ বিক্রি করেছেন ১১ লাখ টাকায়। আশা করছেন গরু ও ছাগল মিলিয়ে এবার লাভ করবেন প্রায় ১২ লাখ টাকা।
জেলায় এমন খামার গড়ে উঠেছে পাঁচ শতাধিক, এছাড়াও পারিবারিক খামারের সংখ্যা ২২ হাজার। ব্ল্যাক বেঙ্গল ও যমুনাপাড়ি জাতের ছাগলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু উৎপাদনে মেহেরপুর পেয়েছে বিশেষ পরিচিতি। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসেবে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়াসহ দেড় লাখের বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
মেহেরপুরের চাহিদা ৯০ হাজার হলেও অতিরিক্ত ৮১ হাজার পশু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঢাকার গাবতলিসহ বড় বড় হাটে মেহেরপুরের পশু থাকবে দাপটের সাথে। এছাড়াও, পশু প্রস্তুতিতে বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছে জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
গৃহপালিত পশু উৎপাদনে খামারিদের দক্ষ করে তুললে এ খাতেই তৈরি হবে বিশাল সম্ভাবনা। তাই পশু উৎপাদন বাড়াতে আরো বেশি করে কাজ করার কথা জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের এই কর্মকর্তা।
গরু-ছাগল লালন-পালনে সাফল্যের গল্প তৈরি করছে মেহেরপুরের গ্রামের মানুষ। তাই এবারের ঈদে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা খামারিদের।