এসময় মধুপুর বনাঞ্চলের রাজবাড়ী এলাকায় সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ পরিদর্শন ও সীমানা পিলার স্থাপনের মাধ্যমে ‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ প্রকল্পের কার্যক্রম ও উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক শরিফা হক, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে হবে উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শালবনে আবার শাল গাছ ফেরত আনা হবে। তাই আসন্ন বর্ষায় বেশি বেশি শাল গাছ রোপণ করতে হবে। এখানে যারা বনবাসী আছেন তাদের এ বন রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে হবে। এসব কাজে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। বনে যে জায়গা বেদখল আছে সে গুলো চিহ্নিত করতে সীমানা পিলার দেয়া হচ্ছে।’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘যে পাঁচ লাখ গাছ লাগানো হবে, তা দেশিয় গাছ নির্বাচন করা হয়েছে। এ গাছগুলো প্রচুর প্রাণীদের আশ্রয় দিবে। শুধু সবুজ করার জন্য নয়, আমরা ভালো অক্সিজেন পাবো, দূষণ কমবে, পাখির আশ্রয় হবে। যারা এ গাছগুলো লাগাবে, তাদের গাছের সঙ্গে একটা আত্মিক সম্পর্ক হয়ে যাবে। আমরা গাছগুলো লাগিয়েই বসে থাকবো না, সেগুলোর যত্ন ও পরিচর্যা করব। আমাদের ধ্বংসাত্মক উন্নয়ন প্রক্রিয়া থেকে নতুন প্রজন্মকে প্রকৃতি-বান্ধব উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রকৃতিকে আমরা বিরক্ত করে নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গাছ কেটে বলি ২০ হাজার গাছ কেটে ৪০ হাজার গাছ লাগাবো। এজন্য আমাদের এত বড় বিপত্তি হয়। আপনি কিছু প্রাকৃতিক অবস্থায় ফেরত আনতে পারেন, কিন্তু সবটা ফেরত আনতে পারবেন না। বাংলাদেশ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হওয়ারই দরকার ছিল না। আমরা এতই প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ছিলাম, আমরা এমন অত্যাচার করলাম প্রকৃতিকে, এখন আমাদের তা সংশোধনের কাজ করতে হচ্ছে।’